নয়াদিল্লি: ভারভারা রাও, সুধা ভরদ্বাজ সহ ৫ জন বিদ্বজ্জনকে মহারাষ্ট্র পুলিশের গ্রেফতার করার ঘটনায় হস্তক্ষেপ করবে না সুপ্রিম কোর্ট, তাঁদের মুক্তি দেওয়ারও প্রশ্ন নেই। এই গ্রেফতারির তদন্তে এসআইটি বা বিশেষ তদন্তকারী দল গঠিত হবে না বলে তারা জানিয়ে দিয়েছে। প্রধান বিচারপতি দীপক মিশ্রের নেতৃত্বাধীন ৩ বিচারপতির বেঞ্চ ২:১ অনুপাতে এই সমাজকর্মীদের তৎক্ষণাৎ মুক্তির দাবি খারিজ করে দিয়েছে।


৫ বিদ্বজ্জনের গৃহবন্দি থাকার মেয়াদ আরও ৪ সপ্তাহ বাড়িয়েছে শীর্ষ আদালত। এই সময়ের মধ্যে নিজেদের পছন্দমত আইনি সাহায্য নিতে পারবেন তাঁরা। ৩ জনের মধ্যে ২ বিচারপতি বলেছেন, অভিযুক্তরা ঠিক করতে পারেন না, কোন তদন্তকারী সংস্থা ঘটনার তদন্ত করবে, রাজনৈতিক মত পার্থক্যের জন্য তাঁদের যে গ্রেফতার করা হয়েছে তাও নয়। পুলিশের কাছে সুনির্দিষ্ট তথ্যপ্রমাণ রয়েছে তাঁদের বিরুদ্ধে। তবে প্রধান বিচারপতি দীপক মিশ্র ও বিচারপতি এএম খানবিলকর এক মত পোষণ করলেও ভিন্ন মত প্রকাশ করেন বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড়। তিনি বলেন, এই ৫ সমাজকর্মীর গ্রেফতার ভিন্ন মত দমনের চেষ্টা ছাড়া কিছু নয়, ভিন্ন মত উজ্জ্বল গণতন্ত্রেরই পরিচয়বাহী।

২৯ অগাস্ট থেকে নিজ নিজ বাসভবনে বন্দি রয়েছেন ভারভারা রাও, অরুণ ফেরেইরা, ভার্নন গঞ্জালভেস, সুধা ভরদ্বাজ ও গৌতম নাভলাখা। গত বছর ৩১ ডিসেম্বর মহারাষ্ট্রের ভীমা-কোরেগাঁও গ্রামে হিংসা উসকে দেওয়ার অভিযোগে তাঁদের বিরুদ্ধে এফআইআর রুজু ছিল। তাঁদের তৎক্ষণাৎ মুক্তি চেয়ে শীর্ষ আদালতে জনস্বার্থ মামলা দায়ের করেন ঐতিহাসিক রোমিলা থাপার। কিন্তু আদালত বলেছে, এই সমাজকর্মীদের ভিন্ন মতের কারণে তাঁদের গ্রেফতার করা হয়নি, তাঁদের সঙ্গে নিষিদ্ধ মাওবাদী সংগঠনের যোগাযোগের সুষ্পষ্ট প্রমাণ পাওয়া গিয়েছে।