নয়াদিল্লি: কেরলের শবরীমালা মন্দিরে মহিলাদের প্রবেশাধিকার সংক্রান্ত মামলায় আজ রায় দেবে সুপ্রিম কোর্ট। ১০ থেকে ৫০ বছর বয়সী মহিলাদের শবরীমালায় প্রবেশের সাংবিধানিক অধিকার রয়েছে কিনা তা নিয়ে মামলা চলছে শীর্ষ আদালতে। মন্দির কর্তৃপক্ষের দাবি, শবরীমালায় বিরাজিত ঈশ্বর আয়াপ্পা ব্রহ্মচারী, তাই ঋতুমতী মহিলাদের দর্শন করেন না তিনি, এর অর্থ মহিলাদের সঙ্গে বৈষম্য নয়। সুপ্রিম কোর্ট ধর্মীয় বিষয়ে হস্তক্ষেপ করছে বলে অভিযোগ করেছে তারা।


শবরীমালা মন্দিরে প্রবেশের প্রচুর বিধিনিষেধ রয়েছে। এই মন্দিরে যাওয়ার আগে ভক্তদের ৪১ দিনের কঠোর ব্রত পালন করার নিয়ম। কিন্তু মন্দিরের নিয়ম অনুযায়ী, ঋতুকাল চলাকালীন মেয়েদের পক্ষে এই ব্রত পালন সম্ভব নয়, তাই ১০-৫০ বছর বয়সী মেয়েরা মন্দিরে প্রবেশ করতে পারবেন না। এই ইস্যুটিই আদালতে বিচারাধীন রয়েছে।

গত শুনানিতে মন্দিরের মুখ্য পুরোহিত বলেছেন, বিষয়টি সামাজিক সমানাধিকার জাতীয় কোনও মামলা নয়। মন্দির কোনও পর্যটনস্থল নয়, এখানে আসার প্রথম শর্ত, দেবতার ওপর আস্থা। যাঁদের দেবতার সর্বমান্য রূপে বিশ্বাস নেই, আদালত তাঁদের আবেদনের ওপর শুনানি করছে। ৫ বিচারপতির বেঞ্চে চলছে মামলাটির শুনানি। শুনানি চলাকালীন বেঞ্চ বলেছে, ধার্মিক নিয়ম সংবিধান অনুসারী হওয়া সব থেকে গুরুত্বপূর্ণ। কোন বিষয় ধর্মের পক্ষে অনিবার্য, তা নিয়ে আদালত কেন মাথা ঘামাবে? ধার্মিক অধিকার পালনের অধিকারেরও সীমা আছে, তা অন্যের মৌলিক অধিকারে হস্তক্ষেপ করতে পারে না। জবাবে মুখ্য পুরোহিতের আইনজীবী বলেছেন, হিন্দু মন্দিরের প্রত্যেক ঈশ্বরের আলাদা বৈশিষ্ট্য রয়েছে, ভারতের আইন তাঁদের জীবিত ব্যক্তি হিসেবে মান্যতা দেয়। সেই হিসেবে মৌলিক অধিকার রয়েছে দেবতাদেরও। ভগবান আয়াপ্পার ব্রহ্মচারী থাকার অধিকার রয়েছে, তা তাঁর মৌলিক অধিকারের মধ্যে পড়ে।