মঙ্গলবার আস্থা ভোটে সংখ্যাগরিষ্ঠতা প্রমাণ করতে পারেনি কংগ্রেস-জেডিএস জোট। ৯৯টি ভোট পেয়েছিল তারা। বিজেপি পেয়েছিল ১০৫টি ভোট। ১৪ মাস ক্ষমতায় থাকার পর জোট সরকারের মুখ্যমন্ত্রী কুমারস্বামী মঙ্গলবার ইস্তফা দিয়েছেন।
বুধবার জেডিএসের পার্টি অফিসে দলীয় বৈঠকের আগে সাংবাদিকদের কুমারস্বামী বলেন, ‘ভবিষ্যতের কৌশল ঠিক করার জন্য আজ আমাদের বিধায়কদের সঙ্গে আলোচনা করলাম। আমাদের কাছে এখন সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হল দলের উন্নয়ন। কর্নাটকের মানুষের আস্থা অর্জন করতে হবে। ঠিক করতে হবে এখান থেকে কীভাবে এগনো যায়। আলোচনা করে দেখি।’
কংগ্রেসের সঙ্গে জোট চালিয়ে যাওয়া নিয়ে তিনি বলেছেন, ‘দেখা যাক। আমি জানি না। জানি না ভবিষ্যতে কংগ্রেস নেতাদের অবস্থান কী হবে। এখনও কিছু আলোচনা করিনি।’ বৈঠকে জেডিএস প্রধান এইচডি দেবেগৌড়াও ছিলেন।
ঘটনা হচ্ছে, কংগ্রেস ও জেডিএস বরাবরই প্রবল প্রতিদ্বন্দ্বী ছিল। বিশেষত মহীশূর অঞ্চলে। তবে ২০১৮ সালের নির্বাচনের পর জোট বেঁধে সরকার গঠন করেছিল। সদ্যসমাপ্ত লোকসভা ভোটে অবশ্য কংগ্রেস ও জেডিএস – দুই দলই বিপর্যস্ত হয়েছে। কর্নাটকে মোট ২৮টি আসনের মধ্যে মাত্র একটি করে আসন পেয়েছিল দুই দল। সেই বিপর্যয়ের কারণ অনুসন্ধান করতে বসে উঠে এসেছিল যে, জোট নিয়ে দুই দলের নিচুতলার কর্মী-সমর্থকেরা খুশি নন।
তারপর থেকেই দুই দলের জোটের ভবিষ্যৎ নিয়ে অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছে।