কলকাতা: ১৯৫৯ সালে সত্যজিৎ রায়ের অপুর সংসার দিয়ে শুরু। তারপর দীর্ঘ ৬১ বছরের অভিনয় জীবনে সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায় কাজ করেছেন প্রায় দুশোর বেশি চলচ্চিত্রে। নেহাত অভিনেতার গণ্ডি টপকে হয়ে গিয়েছিলেন ঘরের লোক। উত্তম কুমারের সঙ্গে পাল্লা দেওয়া বাঙালির হার্টথ্রব ক্রমেই হয়ে ওঠেন কিংবদন্তি।


দেবী, ঝিন্দের বন্দী, অভিযান, অরণ্যের দিনরাত্রি, অশনি সংকেত, জয় বাবা ফেলুনাথ, হীরক রাজার দেশে, সোনার কেল্লা, কোনি, ঘরে বাইরে, গণশত্রু, বেলাশেষে। একাধিকবার বাঙালি হৃদয় ছুঁয়েছেন সৌমিত্রবাবু। বেশিরভাগ বাংলা সিনেমাতেই তাঁর কাজ হলেও হিন্দি ছবিতেও ছিল তাঁর অবাধ যাতায়াত।

নিরুপমা (১৯৮৬) ও হিন্দুস্থানী সিপাই (২০০২) এই দুই হিন্দি ছবিতে করেছেন অভিনয়। পরিচালকের গুরুভারও সামলেছেন স্ত্রী কা পত্র (১৯৮৬) তে। তবে নিঃসন্দেহে তাঁর কিংবদন্তি হয়ে ওঠা, প্রজন্মভেদের আইকন হিসেবে জায়গা করে নেওয়া বাঙলা সিনেমার সুবাদেই। একঝলকে রইল সৌমিত্রবাবুর কালজয়ী সিনেমাগুলোর তালিকা।

অপুর সংসার (১৯৫৯) দিয়ে সত্যজিৎ রায়ের সঙ্গে কাজ শুরুর পর ষাট ও সত্তরের দশকে অস্কারজয়ী পরিচালকের সঙ্গে কাজ করেছেন ১৪ টি চলচ্চিত্রে। দেবী (১৯৬০), অভিযান (১৯৬২), চারুলতা (১৯৬৪), অরণ্যের দিনরাত্রি (১৯৬৯), অশনি সংকেত (১৯৭৩), সোনার কেল্লা (১৯৭৪), জয় বাবা ফেলুনাথ (১৯৭৮), ঘরে বাইরে (১৯৮৪), গণশত্রু (১৯৮৯), শাখা প্রশাখা (১৯৯০) যার মধ্যে উল্লেখযোগ্য।

তপন সিনহার পরিচালনায় ক্ষুধিত পাষাণ (১৯৬০), ঝিন্দের বন্দী (১৯৬১), তরুণ মজুমদারের সঙ্গে সংসার সীমান্তে (১৯৭৫), গণদেবতা (১৯৭৮), মৃণাল সেনের পরিচালনায় প্রতিদ্বন্দ্বী (১৯৬৪), আকাশ কুসুম (১৯৬৫) সিনেমায় কাজ করেছেন। এছাড়া কোনি (১৯৮৬), লাঠি (১৯৯৬), হেমলক সোসাইটি (২০১২), বেলাশেষে (২০১৫), পোস্ত (২০১৭), সাঁঝবাতি (২০১৯) সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়ের উল্লেখযোগ্য কাজ।