পরে স্কুল কর্তৃপক্ষ ওই দেওয়ালের ওপর ‘রাঞ্চো দেওয়াল’ বলে এঁকে দিয়েছিল। তারপর থেকেই পর্যটকদের ছবি তোলার জায়গা হয়ে দাঁড়িয়েছে সেটি।
স্কুলের প্রিন্সিপাল স্ট্যানজিন কুনজ্যাং বলেছেন, ওই সিনেমার কারণে স্কুলের জনপ্রিয়তা বেড়ে গিয়েছে। লাদাখে এলেই পর্যটক এখানে আসছেন। এতে এই এলাকায় স্কুল করার উদ্দেশ্যটাই ব্যাহত হচ্ছে। পর্যটকদের ভিড়ে পড়ুয়াদের মনোযোগই শুধু ক্ষুন্ন হচ্ছে না, সেইসঙ্গে তাঁদের ফেলে যাওয়া জঞ্জালেও ভর্তি হয়ে যাচ্ছে স্কুল চত্বর।
তিনি আরও বলেছেন, লাদাখের ধর্মগুরু দ্বাদশ জিয়ালওয়াং দ্রুকপার আদর্শে অনুপ্রাণিত এই স্কুলের লক্ষ্যে লাদাখি শিশুদের আধুনিক শিক্ষা প্রদান।
১৯৯৮-এ দ্রুক পদ্ম কার্পো এডুকেশন সোসাইটির গড়ে তোলা এই স্কুল ২০১০-এ হড়পা বান ও ধসে আংশিক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল। পরিবেশবান্ধব স্থাপত্য কর্মের জন্য এই স্কুল নানান ধরনের পুরস্কার পেয়েছে। বর্তমানে স্কুলের পড়ুয়ার সংখ্যা ৭৯১। তাদের মধ্যে লাদাখের প্রত্যন্ত এলাকাগুলির ২৮১ পড়ুয়াকে স্কুলেই থাকে।