নয়াদিল্লি: শুক্রগ্রহে কি প্রাণ আছে? এবার তারই খোঁজ চালাচ্ছেন মহাকাশ বিজ্ঞানীরা। মহাকাশচারীরা জানিয়েছেন, পৃথিবীর কাছের এই গ্রহেও প্রাণ থাকার সম্ভাবনা রয়েছে। পৃথিবীতে যে গ্যাস থাকার কারণে প্রাণ সৃষ্টি হয়েছে, শুক্রেও সেই একই গ্যাস রয়েছে। নাসার বিজ্ঞানীরা মনে করছেন, পৃথিবীর বাইরে প্রাণের অস্তিত্ব থাকার বিষয়ে এটাই এখনও পর্যন্ত সবচেয়ে বড় আশার কথা। শুক্রগ্রহেই প্রাণ থাকার সম্ভাবনা সবচেয়ে বেশি।

শুক্রগ্রহে প্রাণের সম্ভাবনার কথা জানার পরেই এবার এই গ্রহে মহাকাশযান পাঠানোর উদ্যোগ শুরু হয়েছে। বিভিন্ন দেশ শুক্রগ্রহে অভিযানের বিষয়ে চিন্তাভাবনা শুরু করেছে। ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থা (ইসরো) ইতিমধ্যেই শুক্রগ্রহে অভিযানের প্রস্তাব দিয়েছে। ২০২৩-এর মধ্যে ‘শুক্রযান-১’ পাঠানো হতে পারে বলে জানিয়েছেন ইসরো চেয়ারম্যান কি শিবন।

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের একটি সংবাদপত্রে প্রকাশিত খবর অনুযায়ী, নিউজিল্যান্ডের একটি বেসরকারি সংস্থা, যারা ইতিমধ্যেই মহাকাশে অন্তত ১২টি রকেট পাঠিয়েছে, তারা এবার শুক্রগ্রহে ছোট একটি কৃত্রিম উপগ্রহ পাঠাতে চাইছে। গত এক দশকে একাধিকবার শুক্রগ্রহ অভিযানের প্রস্তাব দিয়েছে নাসা। কিন্তু শেষপর্যন্ত কোনও প্রস্তাবই বাস্তবায়িত হয়নি।

নাসার পক্ষ থেকে চাঁদ, মঙ্গল, বুধে অভিযানের ব্যবস্থা করা হয়েছে। ২০১৭ সালে শুক্র অভিযানের জন্য দু’টি মহাকাশযান চূড়ান্তও করে নাসা। কিন্তু কোনও মহাকাশযানকেই শুক্রগ্রহে পাঠানো হয়নি। এবার কি শুক্র অভিযান হবে? নাসার সায়েন্স মিশন ডিরেক্টরেটের প্রধান টমাস জুরবাকেন জানিয়েছেন, শুক্রগ্রহে ছোটমাপের একটি মহাকাশযান পাঠানো যেতে পারে।