#সর্বশেষ খবর, জখম অবস্থায় হাসপাতালে চিকিত্সাধীন এক ১৭ বছরের ছেলে, মহম্মদ শরিকের মৃত্যু হয়েছে। স্প্লিন্টারের ঘায়ে সে আহত হয়েছিল। উত্তরাখণ্ডের হরিদ্বারের বাসিন্দা শরিক।
# জম্মুর প্রাণকেন্দ্রে অবস্থিত ভিড়েঠাসা বাসস্ট্যান্ডে গ্রেনেড বিস্ফোরণে যুক্ত সন্দেহে একজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তার নাম ইয়াসিন জাভিদ বাট। তাকে নাগরোটার এক টোল প্লাজা থেকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ঘটনাস্থলের সিসিটিভি ফুটেজ, প্রত্যক্ষদর্শীদের বিবরণ মিলিয়ে দেখে তাকে পাকড়াও করে পুলিশ। জম্মুর আইজিপি এম কে সিনহা সন্ধ্যায় সাংবাদিক বৈঠক করে এ কথা জানান। কাশ্মীরি জঙ্গি সংগঠন হিজবুল মুজাহিদিনের কুলগাম জেলার কমান্ডার ফারুক আহমেদ ভাটের সঙ্গে বাটের যোগাযোগ রয়েছে বলে জানান সিনহা। জেরায় বাট নাকি স্বীকার করেছে, কুলগামে ওই হিজবুল কমান্ডারের কাছ থেকে গ্রেনেড সংগ্রহ করে আজ সকালে সে জম্মু এসেছিল।
#আরও চার জখম ব্যক্তির অবস্থা সঙ্কটজনক বলে খবর। দুজনের প্রাণ বাঁচাতে অস্ত্রোপচার করেছেন ডাক্তাররা। আহতদের ১১ জন কাশ্মীর, ২ জন বিহারের, একজন করে ছত্তিশগড় ও হরিয়ানার।

# আইজিপি বলেন, আজকের হামলা সম্পর্কে কোনও আগাম খবর, সতর্কতা ছিল না। সাধারণ খবরাখবর, তথ্য সবসময়ই আসে। সেই অনুসারে বাহিনী মোতায়েনও করা হয়। যখনই ইনপুট বা তথ্য, সূত্র হাতে আসে, সঙ্গে সঙ্গে তার ভিত্তিতে ব্যবস্থা নেওয়া হয়। তবে এদিন আক্রমণ হতে পারে, এমন কোনও নির্দিষ্ট সতর্কতা ছিল না। তিনি আরও বলেন, যখনই উচ্চ মাত্রায় সতর্কতা জারি হয়, আমরা তল্লাসি, পরীক্ষা জোরদার করি। কিন্তু তার মধ্যেই ফাঁকফোকর গলে বেরিয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থেকেই যায়। এক্ষেত্রেও এরকমই কিছু হয়েছে বলে মনে হচ্ছে।


জম্মু: পুলওয়ামার পর এবার সন্ত্রাসের থাবা জম্মুতে। বৃহস্পতিবার জম্মু শহরের বাসস্ট্যান্ডে গ্রেনেড হামলা চালায় সন্দেহভাজন জঙ্গিরা। অন্তত ৩৩ জন জখম হয়েছেন। জম্মু পুলিশের ইনস্পেক্টর জেনারেল এম কে সিনহা জানিয়েছেন, বি সি রোডে জনবহুল জেনারেল বাসস্ট্যান্ডে বিস্ফোরণের পরই ঘটনাস্থল সিল করে দিয়েছে পুলিশ। বিস্ফোরণের খবর পেয়েই সেখানে ছুটে যান তিনি। বলেন, প্রাথমিক তদন্তে সন্দেহ করা হচ্ছে, কেউ একজন গ্রেনেড ছুঁড়ে দিয়েই পালায়। সন্দেহভাজন হামলাকারীর সন্ধানে ব্যাপক তল্লাসি চলছে। আহতদের সরকারি মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এদের একজনের অবস্থা গুরুতর বলে খবর। বিস্ফোরণের অভিঘাতে একটি দাঁড় করিয়ে রাখা বাসের উইন্ডস্ক্রিন চুরমার হয়।
ঘটনাস্থলে গিয়েছে ফরেনসিক বিশেষজ্ঞদের একটি দল।
গত বছরের মে মাস থেকে জম্মু বাস স্ট্যান্ড চত্বরে এই নিয়ে তিনবার গ্রেনেড আক্রমণ হল। শহরের সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি নষ্ট করতেই বারবার এ ধরনের নাশকতা ঘটানো হচ্ছে বলে ধারণা পুলিশের।

প্রত্যক্ষদর্শীদের বক্তব্য, একটি বাসের ভিতরে প্রচণ্ড বিস্ফোরণের শব্দ শোনা যায়। উপস্থিত লোকজন ভেবেছিল, টায়ার ফাটার শব্দ হল। তবে ঘটনাস্থলে হাজির হয়ে দেখা যায়, এই ধারণা ভুল, বড় বিস্ফোরণ ঘটেছে।