নয়াদিল্লি: লোকসভায় ভাষণ দিতে উঠে বিরোধীদের তীব্র আক্রমণ করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। পরিবারতন্ত্র নিয়ে কংগ্রেসকে কটাক্ষ করার পাশাপাশি বিরোধী দলগুলির মহাজোটকেও তোপ দাগলেন মোদি। তিনি বলেন, ‘এটা ভোটের বছর, সবাইকে কিছু না কিছু বাধ্যবাধকতা আছে। এই সরকার দুর্নীতির বিরুদ্ধে লড়াই করছে। নতুন প্রজন্ম দেশকে উন্নয়নের দিশা দেখাবে। স্বাস্থ্যকর প্রতিযোগিতার জন্য বিরোধীদের ধন্যবাদ। ভোট এই জন্য যে জনগণ হিসেব চায়।’

কংগ্রেস সহ বিরোধীদের আক্রমণ করে প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, ‘বিসি = বিফোর কংগ্রেস, এডি = আফটার ডায়ন্যাস্টি। সাড়ে ৪ বছর আগে কী হত, এখন কী হচ্ছে...। সাড়ে ৪ বছরে সব ক্ষেত্রেই দেশ এগিয়ে যাচ্ছে। মোদির আলোচনা করতে গিয়ে দেশের খারাপ চাইছে অনেকে। ভুল করেও কখনও কেউ দেশের খারাপ চাইবেন না। অনেকে লন্ডনে গিয়ে সাংবাদিক বৈঠক করছেন! নিজের আত্মসম্মান বজায় রাখব, এটাই তো চাই। বলছে মোদি সংস্থাকে ধ্বংস করে দিচ্ছে। উল্টা চোর চৌকিদারকো ডাঁটে। কংগ্রেস সেনাকে অপমান করছে, বলছে মোদি ধ্বংস করছে। গোটা বিশ্বে ভারতের নির্বাচন কমিশনের এত সম্মান, তাকেও অপমান। দেশ বাজেটের কথা বলছে, ওরা ইভিএমে কারচুপির কথা বলছে। বিচারবিভাগকে যেভাবে কংগ্রেস আক্রমণ করছে, আগে হয়নি। রায় পছন্দ না হলেই যা খুশি বলে দেব? পুরো বিচারব্যবস্থাকে ভয় দেখানোর চেষ্টা করছে কংগ্রেস। ইন্দিরা গাঁধী ৫০ বার নানা সরকার ভেঙে দিয়েছেন। সেই কংগ্রেসের মুখে এখন প্রতিষ্ঠানের সম্মান! মোদির দিকে আঙুল তোলার আগে নিজেদের দেখুন। ওদের ৫৫ বছরের তুলনায় আমার ৫৫ মাস। আমাদের ৫৫ মাস সেবার ৫৫ মাস। আর ওদের ৫৫ বছরে শুধুই আখের গোছানো হয়েছে। কলকাতায় সত্যাগ্রহে মহাজোটের হাল দেখুন। কলকাতায় একমঞ্চে, কেরলে মুখ দেখাদেখি নেই। বিরোধীদের মহাজোট আসলে মহা ভেজাল। লুঠেরাদের আইন তৈরি করে আমরাই ধরে ফেরাচ্ছি। কংগ্রেস এখন বেশ কিছু কাজ আউটসোর্স করে দিয়েছে। ২০১৪ পর্যন্ত সেনার কোনও বুলেট প্রুফ জ্যাকেট ছিল না। কিছুই করেনি কংগ্রেস, সার্জিক্যাল স্ট্রাইক হবে কী করে! সেনাকে শক্তিশালী করতে কিছুই করেনি কংগ্রেস। একের পর এক অভিযোগের জবাব দিয়েছেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী। কংগ্রেস চায় না আমাদের বায়ুসেনা শক্তিশালী হোক। কোনও কোম্পানির জন্য আপনারা এই খেলা খেলছেন? দেশের সেনার জন্য কংগ্রেসের কেন এই আচরণ? প্রতিরক্ষা চুক্তিতে শুধুই দালালি করেছে কংগ্রেস। কংগ্রেস-মুক্ত ভারত আমার স্লোগান নয়, গাঁধীর ইচ্ছা পূরণ করছি। অম্বেডকর বলেছিলেন কংগ্রেসে যোগদান আত্মহত্যার সামিল। ১৫ লক্ষের বেশি মানুষ আয়ুষ্মান ভারতের সুবিধেভোগী। আয়ুষ্মান ভারতের পর কোনও সাংসদের সুপারিশ লাগবে না। এখনও ২-৩ মাস আছে, গরিবদের জন্য কিছু কাজ তো করুন। আগে গরিবদের কথা ভাবুন, পরে রাজনীতির কথা ভাববেন। আপনারা কর্নাটকে কৃষকদের ঋণ মকুবের কথা বলেছিলেন। এখনও পর্যন্ত মাত্র ৬০ হাজার কৃষক এই সুবিধে পেয়েছেন। রাজস্থান, মধ্যপ্রদেশ কী হচ্ছে দেখে আসুন।’