ইস্টারের রবিবারের সকালে তিন গির্জা ও তিনটি হোটেলে প্রায় একই সময়ে পরপর ৬টি বিস্ফোরণ হয়। সকালের ৬টি পর দুপুরেও দুটি, সব মিলিয়ে ৮টি বিস্ফোরণ হয়েছে। স্থানীয় সময় সকাল ৮টা ৪৫এ বিস্ফোরণগুলি ঘটেছে। বহু মানুষ হতাহত হন। লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে মৃতের সংখ্যা। কারা বিস্ফোরণ ঘটিয়েছে, তা পরিষ্কার নয় এখনও। নিহতদের মধ্যে অন্তত ২৭ জন বিদেশি নাগরিক। কোনও সন্ত্রাসবাদী গোষ্ঠী এখনও পর্যন্ত হামলার দায় স্বীকার করেনি।
নাশকতার টার্গেট হোটেলগুলিতে প্রায় সারা বছর বিদেশি পর্যটকদের ভিড় থাকে। পুলিশের মুখপাত্র রুয়ান গুণশেখর জানিয়েছেন, গির্জাগুলিতে ইস্টারের প্রার্থনার প্রস্তুতি চলছিল। তখনই বিস্ফোরণ হয়। কলম্বোর সেন্ট অ্যান্টনি গির্জা, পশ্চিমের উপকূল শহর নেগম্বোর সেন্ট সেবাস্তিয়ান গির্জা ও পূর্বের বাত্তিকালোয়ার আরেকটি গির্জা বিস্ফোরণে কেঁপে ওঠে। বিস্ফোরণ হয়েছে সাংগ্রিলা, সিনামম গ্র্যান্ড ও কিংসব্যুরি-তিন পাঁচতারা হোটেলে। কলম্বোর সরকারি হাসপাতালের মুখপাত্র জানিয়েছেন, অন্তত ২৮০ জনকে আহত অবস্থায় ভর্তি করা হয়েছে সেখানে।
নেগম্বোর কাটুওয়াপিটিউটার গির্জার এক ফেসবুক পোস্টে লেখা হয়েছে, আমাদের গির্জায় বোমা হামলা হয়েছে। দয়া করে সবাই আসুন, সাহায্য করুন।
নয়াদিল্লির খবর, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ট্যুইট করে শ্রীলঙ্কার পাশে থাকার কথা বলেছেন। লিখেছেন, শ্রীলঙ্কার মানুষের সঙ্গে আছে ভারত। শ্রীলঙ্কার ভয়াবহ বিস্ফোরণের কঠোর নিন্দা করছি। এমন বর্বর আচরণের কোনও জায়গা নেই আমাদের এই অঞ্চলে। নিহতদের পরিবারবর্গের প্রতি সমবেদনা ও আহতদের প্রতি আমার উদ্বেগ জানাই।
নয়াদিল্লিতে বিদেশমন্ত্রী সুষমা স্বরাজ কলম্বোর ধারাবাহিক বিস্ফোরণের পর ট্যুইট করে ভারত পরিস্থিতির ওপর নজর রাখছে বলে জানিয়েছেন। লিখেছেন, কলম্বোর ভারতীয় হাইকমিশনারের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রাখছি।
বিস্ফোরণের পরের পরিস্থিতির দিকে নজর রেখে সেখানকার ভারতীয় দূতাবাস ট্যুইট করেছে, কলম্বো ও বাত্তিকালোয়ায় বিস্ফোরণের খবর এসেছে। পরিস্থিতির ওপর কড়া নজর রাখছি আমরা। ভারতীয় নাগরিকদের সাহায্যের দরকার হলে বা কিছু জানার থাকলে এই নম্বরগুলিতে ফোন করতে বলা হচ্ছে, : +94777903082 +94112422788 +94112422789," +94777902082 +94772234176,"