কলকাতা: কালীপুজোর আগে বুধবার থেকে রাজ্যে গড়াবে লোকাল ট্রেনের চাকা। রেল সূত্রে খবর, প্রতিদিন ৬৯৬টি ট্রেন চলবে রাজ্যে। এর মধ্যে শিয়ালদা ডিভিশনে চলবে ৪১৩টি ট্রেন। তার আগে স্টেশনে স্টেশনে চলছে শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি। স্যানিটাইজ করা হচ্ছে প্রত্যেক স্টেশন চত্বর।


শারীরিক দূরত্ববিধি মেনে যাতে সকলে পরিষেবা গ্রহণ করেন, তা নিশ্চিত করতে শিয়ালদা স্টেশনে টিকিট কাউন্টারের সামনে গোল করে মার্কিং করার কাজ চলছে। টিকিট কাটতে আসা যাত্রীদের পারস্পরিক দূরত্ববিধি মেনে চলতে হবে। সোমবার থেকে মান্থলি পাসের মেয়াদ বৃদ্ধি করার কাজ শুরু হয়েছে। লকডাউন শুরু হওয়ার সময় মান্থলি বা কোয়ার্টারলি টিকিট কাটা যাত্রীদের বৈধ যাতায়াতের মেয়াদ যতদিন বাকি ছিল, তা নতুন টিকিটে অন্তর্ভুক্ত করা হচ্ছে।

শিয়ালদা স্টেশনে কর্মরত রেলের এক কর্মী বলছেন, ‘করোনা বিধি মেনেই মান্থলি পাসের এক্সটেনশন করতে পেরেছি। কোনও সমস্যা হলে কন্ট্রোল রুমে ফোন করে সাহায্য চেয়েছি। এতদিন পরে কাউন্টার খুলছে। টিকিট ইস্যু করার সময় যান্ত্রিক কোনও ত্রুটি হলে বুকিং সুপারভাইজারের সাহায্য চেয়েছি। সকলেই সহযোগিতা করছেন।’

স্টেশনে ঢোকা ও বেরনোর সময় যাত্রীদের মধ্যে যাতে সামাজিক দূরত্ববিধি নষ্ট না হয়, সেই কারণে শিয়ালদায় বসানো হচ্ছে গার্ডরেল। ভিড় নিয়ন্ত্রণই রাজ্য ও রেলের কাছে প্রধান চ্যালেঞ্জ।  হাওড়ার টিকিয়াপাড়া কারশেডে চলছে ট্রেন চালানোর প্রস্তুতি। প্ল্যাটফর্মে বৃত্তাকারে শারীরিক দূরত্ববিধি মানার জন্য মার্কিং করার কাজ চলছে। সেই অংশেই দাঁড়াতে হবে যাত্রীদের। দুই বৃত্তের মধ্যে ৫ ফুট দূরত্ব রাখা হয়েছে। প্রত্যেক স্টেশনে থাকছে এন্ট্রি ও এক্সিট পয়েন্ট। স্টেশনে ঢোকার সময় প্রত্যেক যাত্রীর থার্মাল চেকিং করা হবে। ট্রেনের কামরায় বাংলা, হিন্দি ও ইংরেজিতে করোনা মোকাবিলার সুরক্ষাবিধি লিখে তা সেঁটে দেওয়া হচ্ছে।

পরিষেবা চালু হলেও ট্রেনে হকারদের ওঠা ও স্টেশন চত্বরে হকারদের দোকান খোলা নিষিদ্ধ। তবে ভেন্ডররা উঠতে পারবেন। যাত্রীদের মাস্ক পরে থাকা বাধ্যতামূলক করা হচ্ছে।