কলকাতা: কালীপুজোর আগেই গড়াবে লোকাল ট্রেনের চাকা! আগামী ১১ নভেম্বর, বুধবার থেকেই চলবে লোকাল। রেল-রাজ্য বৈঠকে এমনই সিদ্ধান্ত হয়েছে বলে দাবি সূত্রের।
সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, প্রতিদিন ১৮১ জোড়া ট্রেন চলবে। শিয়ালদা ডিভিশনে ১১৪ জোড়া লোকাল ট্রেন চলবে। হাওড়া ডিভিশনে ৫০ জোড়া লোকাল ট্রেন চলবে। এমনটাই দাবি সূত্রের।
ঠিক হয়েছে, গুরুত্বপূর্ণ সমস্ত স্টেশনেই ট্রেন দাঁড়াবে। অন্যান্য স্টেশনগুলির ক্ষেত্রে কতগুলি ট্রেন দাঁড় করানো সম্ভব, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। স্টেশনে স্টেশনে ভিড় এড়াতে গ্যালপিং ট্রেনের সংখ্যা কমানোর ভাবনা আছে রেলের।
জানা গিয়েছে, নতুন টাইমটেবল নয়, পুরনো টাইমটেবলেই অদলবদল করে লোকাল ট্রেন চালানোর চেষ্টা করা হবে বলে দাবি সূত্রের। সেক্ষেত্রে, রেলের তরফে বিজ্ঞাপন দিয়ে জানিয়ে দেওয়া হবে ট্রেনের সময়সূচি।
ভিড় এড়াতে রেল-রাজ্যের বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়েছে, স্টেশনের সমস্ত টিকিট কাউন্টারগুলোই খোলা থাকবে। ভিড় যাতে কমানো যায়, টিকিট ভেন্ডিং মেশিনগুলিও অপারেশনাল করা হয়েছে, ই-টিকিটের ক্ষেত্রে উৎসাহ দেওয়া হচ্ছে।
নবান্নে লোকাল নিয়ে রেল-রাজ্য বৈঠকে সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, স্টেশনে নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করলে বাড়বে ট্রেনের সংখ্যা। দাবি সূত্রের। আপাতত ঠিক হয়েছে, অফিস টাইমে ট্রেনের সংখ্যা বাড়িয়ে ভিড় নিয়ন্ত্রণ করা হবে।
করোনা পরিস্থিতিতে স্ট্যানার্ড অপারেটিং প্রোটোকলে বিশেষ বদল আনা হচ্ছে না। মাস্ক, স্যানিটাইজেশনের পাশাপাশি যাত্রীদের জন্য একগুচ্ছ বিধি সোমবার সন্ধের মধ্যে জারির ভাবনা।
রেল সুরক্ষা বাহিনী (আরপিএফ) তো থাকছেই। পাশাপাশি রাজ্য কতটা নিরাপত্তা দিচ্ছে, সেটার ওপর নির্ভর করে ঠিক করা হবে, কোন স্টেশনে কত ট্রেন দাঁড়াবে।
রাজ্যের তরফে ভিড় নিয়ন্ত্রণে সমস্ত রকম সাহায্যের আশ্বাস দেওয়া হয়েছে বলে নবান্ন সূত্রে খবর।
বাম-কংগ্রেসের অবশ্য বক্তব্য, লোকাল ট্রেন যদি কম চলে, তাহলে তো ভিড় আরও বাড়বে! সেক্ষেত্রে করোনা সংক্রমণও আরও বেশি ছড়ানোর আশঙ্কা। তাই তাদের প্রস্তাব, আগের চেয়ে বেশি সংখ্যক লোকাল ট্রেন চালানো হোক।