নয়াদিল্লি: করোনা রুখতে ডিসইনফেকশন টানেল ব্যবহার নয়, একমাসের মধ্যে বন্ধ করতে হবে ডিসইনফেকশন টানেল। কেন্দ্রকে নির্দেশ সুপ্রিম কোর্টের।


শীর্ষ আদালত আরও জানিয়েছে, ‘ফিউমিগেশন, অতি বেগুনি রশ্মির ব্যবহার আর নয়। রাসায়নিক প্রয়োগে শারীরিক, মানসিক স্বাস্থ্যের ক্ষতি হয়।


ফিউমিগেশন বন্ধ করার নির্দেশিকা কেন্দ্রকে অবিলম্বে জারি করতে বলেছে বিচারপতি অশোক ভূষণের নেতৃত্বাধীন শীর্ষ আদালতের ডিভিশন বেঞ্চ।


প্রসঙ্গত, জনৈক আইনের ছাত্র গুরসিমরণ সিংহ নারুলার দায়ের করা একটি জনস্বার্থ মামলার প্রেক্ষিতে শুনানি চলছিল। ওই ছাত্র তাঁর আবেদনের মাধ্যমে মানুষকে জীবাণুমুক্ত করার উদ্দেশ্যে জৈবিক জীবাণুনাশক স্প্রে বা ফিউমিগেশন করার জন্য নির্মিত টানেলের ব্যবহার থেকে শুরু করে গঠন, নির্মাণ ও প্রচার নিষিদ্ধ করার আর্জি জানান তিনি।


আবেদনে বলা হয়, কোভিড-১৯ রোধ করার অছিলায়, অনেক স্যানিটাইজেশন ও জীবাণুমুক্ত করার মাধ্যম বাজারে এসেছে, যেগুলি করোনাভাইরাস আটকানোর মিথ্যে দাবি করে আসছে।


আবেদন অনুযায়ী, সেই তালিকায় রয়েছে ডিসইনফেকশন টানেল, যার মাধ্যমে জীবাণুনাশক স্প্রে বা ফিউমিগেট করা হয়। ওই ডিসইনফেকশন টানেলের ফলে মানুষের ত্বক অতিবেগুনী রশ্মির সংস্পর্শে আসে। সকলে ভাবেন, তাঁরা জীবাণুমুক্ত হচ্ছেন। কিন্তু, আদতে ক্ষতি হচ্ছে।


এই মাধ্যমগুলিকে নিষিদ্ধ করার আর্জি জানাতে গিয়ে আবেদনকারী বলেন, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (হু) এই মাধ্যমগুলির অকার্যকারিতা এবং ক্ষতিকারক পরবর্তী প্রতিক্রিয়া সম্পর্কে সতর্ক করেছে।


প্রসঙ্গত, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা থেকে শুরু করে একাধিক স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ সতর্ক করে জানিয়েছে, এধরনের ডিসইনফেকশন টানেলের অপরীক্ষিত ও যথেচ্ছ ব্যবহারের ফলে মানুষের ওপর গুরুতর শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্যের ক্ষতি পারে।


রাসায়নিক প্রয়োগে শারীরিক, মানসিক স্বাস্থ্যের ক্ষতির কথা স্বীকার করেছে কেন্দ্রীয় সরকারও।