কলকাতা: প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে মুখ্যমন্ত্রীদের বৈঠকে যোগ দেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি এই বৈঠকে বেশ কয়েকটি দাবি পেশ করেন। পরে নবান্নে সাংবাদিক বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী জানান, ‘৩০ এপ্রিল পর্যন্ত লকডাউন বাড়ানোর কথা বলেছেন প্রধানমন্ত্রী। রাজ্যে করোনা আক্রান্ত আরও ৬ জন। রাজ্যে এখনও পর্যন্ত করোনা আক্রান্ত ৯৫। করোনা আক্রান্তদের ৭০ জনই ১৬টি পরিবারের। বাংলা বিপদে পড়লে সীমানাবর্তী রাজ্য বিপদে পড়বে। বলেছি, আন্তর্জাতিক বিমান চালানো যাবে না। কোনও জমায়েত করা যাবে না। তিনটি টাস্ক ফোর্স গঠন করা হয়েছে। বলেছি, পণ্যবাহী ছাড়া দূরপাল্লার ট্রেন চালানো যাবে না। রাস্তায় একসঙ্গে ভিড় করা যাবে না। কেউ করোনা আক্রান্ত মানেই অচ্ছুত নয়। ধান কাটতে গেলে একসঙ্গে ৫০জন কেন যাবে? ধান কাটতে একসঙ্গে এত লোকের প্রয়োজন নেই। ধান কাটা নিয়ে কোনওরকম সমঝোতা নয়। ৩০ এপ্রিলের পর পরিস্থিতির পর্যালোচনা। করোনা তথ্যের খোঁজে অ্যাপ তৈরি করেছে সরকার। আগামী ২ সপ্তাহ খুব গুরুত্বপূর্ণ, বলেছেন প্রধানমন্ত্রী। কষ্ট হচ্ছে বুঝছি, কিন্তু প্রত্যেকেই ঘরে থাকুন। নিয়ম মেনে বেকারি চালু করতে বলেছি। নিয়ম ভাঙলেই ব্যবস্থা নেওয়া হবে। অনলাইন ফুড ডেলেভারিকে ছাড় দেওয়া হবে। এই প্রথম জীবনে আমি মা কালী দর্শন করতে পারছি না। হালখাতা করতে হলে বাড়িতে করুন। ১০ জুন পর্যন্ত রাজ্যের সব স্কুল-কলেজ বন্ধ থাকছে।’


মুখ্যমন্ত্রী আরও জানিয়েছেন, ‘পয়লা বৈশাখের পর আরেকবার মিড ডে মিল। কোথাও পুলিশ পরীক্ষা করতে গেলে বাধা দেবেন না। অসংগঠিত এবং ক্ষুদ্র-মাঝারি শিল্পের জন্য প্যাকেজ চাই। জিএসটি বাবদ ১১ হাজার কোটি টাকা চেয়েছি। কেন্দ্রের কাছে বকেয়া টাকা চেয়েছি। করোনা মোকাবিলায় বিশেষ প্যাকেজ চেয়েছি। প্যাকেজ হিসেবে বরাদ্দ হোক জিডিপির ৬ শতাংশ। আয় নেই, কিন্তু অনেক খরচ, তাই টাকা চেয়েছি। এটা পেলে সব রাজ্যের জন্যেই ভাল হবে। প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে ভালই বৈঠক হয়েছে। ৬ মাস বিনামূল্যে রেশন দেওয়া হবে।’