নয়াদিল্লি: লকডাউন সংক্রান্ত নির্দেশিকা সংশোধন করেছে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক। নয়া নির্দেশিকায় জানানো হয়েছে, এ মাসের ২০ তারিখ থেকে বিশেষ কিছু ক্ষেত্রকে লকডাউনের আওতার বাইরে রাখা হবে। তবে কঠোর নিয়ম মেনেই এই ক্ষেত্রগুলিতে ছাড় দেবে রাজ্য সরকার, কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের প্রশাসন ও জেলা প্রশাসন। দেখে নেওয়া যাক, কোন কোন ক্ষেত্রগুলিকে লকডাউনের আওতার বাইরে রাখা হবে-


চিকিৎসা ক্ষেত্র-

আয়ুষ সহ সব ধরনের স্বাস্থ্য পরিষেবা চালু থাকছে। এর আওতায় পড়ছে হাসপাতাল, নার্সিং হোম, ক্লিনিক, জন ঔষধী কেন্দ্র সহ ধরনের ওষুধের দোকান, ডাক্তারখানা, চিকিৎসা সংক্রান্ত সরঞ্জাম বিক্রি করে এমন দোকান, পরীক্ষাগার ও নমুনা সংগ্রহ কেন্দ্র, জরুরি পরিষেবার সঙ্গে যুক্ত অনুমোদিত প্রতিষ্ঠানগুলি, অ্যাম্বুল্যান্স সহ স্বাস্থ্য সংক্রান্ত পরিকাঠামো তৈরি, পশু হাসপাতাল, চিকিৎসক ও চিকিৎসাকর্মী, বিজ্ঞানী, গবেষক, পরীক্ষাগারের কর্মীদের যাতায়াত।

জনগণের প্রয়োজনীয় ক্ষেত্র-

তেল ও গ্যাস পরিশোধন, পরিবহণ, বিতরণ, মজুত ও খুচরো বিক্রিতে ছাড় দেওয়া হচ্ছে। এছাড়া কেন্দ্র, রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলিতে বিদ্যুৎ তৈরি ও সরবরাহ। পোস্ট অফিস সহ ডাক বিভাগের যাবতীয় পরিষেবাও সচল থাকবে। রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলিতে স্থানীয় স্তরে জল, স্বাস্থ্যব্যবস্থা ও জঞ্জাল সাফাই বিভাগের কাজকর্মও চালু থাকবে। টেলিযোগাযোগ ও ইন্টারনেট পরিষেবাও চালু থাকবে।

অত্যাবশ্যকীয় পণ্য সরবরাহ-

অত্যাবশ্যকীয় পণ্য, বড় ইঁট ও মর্টার স্টোর, ই-কমার্স সংস্থাগুলির কাজকর্মেও ছাড় দেওয়া হবে। অন্যান্য নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দোকান, ঠেলাগাড়ি, রেশন দোকান, খাবারের দোকান ও মুদিখানা, ফল, সবজি, ডেয়ারি প্রোডাক্ট ও দুধ, পোলট্রি, মাছ ও মাংস, পশুখাদ্য সরবরাহের ক্ষেত্রেও ছাড় দেওয়া হবে। লোকজন যাতে বাড়ির বাইরে না যান, সেটা নিশ্চিত করার জন্য জেলা প্রশাসন হোম ডেলিভারিতে উৎসাহ দিতে পারে।

বাণিজ্যিক ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠান-

প্রিন্ট ও বৈদ্যুতিন সংবাদমাধ্যম, ডিটিএইচ ও কেবল পরিষেবা, ৫০ শতাংশ কর্মী সহ তথ্যপ্রযুক্তি ক্ষেত্র, সরকারি কাজের সঙ্গে যুক্ত ডেটা ও কল সেন্টার, পঞ্চায়েত স্তরে সরকার অনুমোদিত কমন সার্ভিস সেন্টার, ক্যুরিয়র পরিষেবা, হিমঘর ও গুদাম, বন্দর, বিমানবন্দর, রেলস্টেশন, কন্টেনার ডিপো এবং অন্যান্য লজিস্টিক চেন চালু থাকে।

আর্থিক ক্ষেত্র-

রিজার্ভ ব্যাঙ্ক, সব ব্যাঙ্কের শাখা ও এটিএম, ব্যাঙ্কিং পরিষেবার সঙ্গে যুক্ত বিভিন্ন ক্ষেত্র চালু থাকবে। ব্যাঙ্কে আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখা এবং সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার জন্য ব্যাঙ্কের শাখাগুলিতে নিরাপত্তারক্ষী নিয়োগ করতে হবে স্থানীয় প্রশাসনকে। সেবি, আইআরডিএআই ও বিমা সংস্থাগুলির কাজকর্ম চলবে।

সামাজিক ক্ষেত্র-

বৃদ্ধাশ্রম, শিশু, বিশেষভাবে সক্ষম, মানসিক রোগী ও মহিলাদের আবাস খোলা থাকবে। নাবালক ও বিধবাদের নিরাপত্তার দিকে বিশেষ নজর দিতে হবে। পেনশন চালু রাখতে হবে। অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রগুলিও চালু থাকবে।

এছাড়া অনলাইন ক্লাস, মনরেগা প্রকল্পের কাজও চালু থাকবে। সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখেই মনরেগার কাজ করতে হবে। সেচ ও জল সংরক্ষণের উপর সবচেয়ে বেশি নজর দিতে হবে।