কলকাতা: লকডাউনের চতুর্থ পর্যায় শেষ হচ্ছে ৩১ মে। এরপর কী পদক্ষেপ। সেদিকেই ছিল সকলের নজর। 'দ্রুত ছড়াচ্ছে করোনা।' সে-কথা মাথায় রেখেই, একগুচ্ছ নতুন ঘোষণা করলেন মুখ্যমন্ত্রী। জানিয়ে দিলেন, ১ জুন থেকে মন্দির, মসজিদ, গির্জা, গুরুদ্বার খুলবে। যদিও একসঙ্গে ১০জনের বেশি ঢোকা যাবে না।


এছাড়াও গণ পরিবহণ ব্যবস্থা সম্পর্কেও বড় ঘোষণা করলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। জানালেন, বাসে যা আসন আছে, তাতেই যাবেন, দাঁড়িয়ে যাওয়া যাবে না।
এক ঝলকে দেখে নেওয়া যাক আর কী কী ঘোষণা করলেন মুখ্যমন্ত্রী।


সেই সঙ্গে মুখ্যমন্ত্রীর ঘোষণা, ৮ জুন থেকে সরকারি-বেসরকারি সংস্থায় ১০০% কর্মী হাজিরা থাকবে। যদিও পরে, মুখ্যমন্ত্রী নিজে ট্যুইট করে জানান, বর্তমান পরিস্থিতিকে মাথায় রেখে আপাতত ৭০ শতাংশ কর্মী দিয়ে সরকারি দফতর চালানো হবে। বেসরকারি ক্ষেত্রে সিদ্ধান্ত সংশ্লিষ্ট সংস্থার ওপরই ছেড়ে দেন তিনি।বলেন, কতজন কর্মী নিয়ে কাজ, সিদ্ধান্ত নেবে বেসরকারি সংস্থা। তবে যতটা সম্ভব বাড়ি থেকেই কাজ করানোর পরামর্শ দেন তিনি।









• করোনার সঙ্গে লড়াই করতে গেলে অনেক কিছু বদলাতে হবে। একসঙ্গে সবাই বাজার করতে গেলে রোগ বাড়বে। করোনার সংক্রমণ খুব দ্রুত ছড়াচ্ছে। প্রথম ২-৩ মাস বাংলায় নিয়ন্ত্রণে রাখার চেষ্টা করেছিলাম।
• করোনার মধ্যেই উমপুন, জোড়া বিপর্যয়।
• বাসে ২০জনের বেশি নেওয়া যাবে না। অনেক লোকসান হচ্ছে, কিন্তু কী করা যাবে?
• বাসে ওঠার জন্য কন্ডাক্টরের গায়ে হাত দেওয়া যাবে না। বাসে যা আসন আছে, তাতেই যাবেন, দাঁড়িয়ে যাওয়া যাবে না।
• ১০০দিনের কাজ করতে গিয়ে সবাই জড়ো হবেন না। হটস্পট থেকে ট্রেনে কেন গাদাগাদি করে আনা হচ্ছে? সামাজিক দূরত্ব কেন মানছে না রেল, বাড়তি ট্রেন নয় কেন?
• অনেকে না খেতে পেয়ে মারাও যাচ্ছেন। শ্রমিক এক্সপ্রেসের নামে করোনা এক্সপ্রেস হয়ে গেছে।
• মন্দির, মসজিদ, গির্জা কী দোষ করল? কেন্দ্র এমন করলে, কেন আমি সব বন্ধ রাখব?
• ১ জুন থেকে মন্দির, মসজিদ, গির্জা, গুরুদ্বার খুলবে। একসঙ্গে ১০জনের বেশি ঢোকা যাবে না। লকডাউনের নিয়ম মেনে মন্দির, মসজিদ, গির্জা খুলবে। মন্দিরে ঢুকতে গেলে স্যানিটাইজারের ব্যবস্থা করতে হবে। বড় কোনও উৎসব এখন করা যাবে না। ১ জুন সকাল ১০টা থেকে মন্দির খোলা যাবে। ট্রেনে হাজার হাজার লোক এলে, মন্দিরও খুলতে পারে। আশা করব ভারত সরকারও এনিয়ে ভাববে। চা, জুটমিলে ১০০ শতাংশ কর্মী নিয়ে কাজ করা যাবে।
• পুরো জুন মাস বন্ধ থাকবে স্কুল। ভিন রাজ্য থেকে এলে গ্রামে স্কুলেই কোয়ারেন্টিন। কোয়ারেন্টিনে ৭দিন রাখার পরে করোনা পরীক্ষা। ১০দিন পরে করোনার হদিশ না পেলে বাড়ি পাঠানো হবে।
• কোয়ারেন্টিন সেন্টার নিয়ে চিন্তা করবেন না, যাতে করোনা না ছড়ায় তার জন্য কোয়ারেন্টিন সেন্টার। বাইরে থেকে অনেকে করোনা সংক্রমণ নিয়ে আসছেন। দোষ আক্রান্তদের নয়, যারা চিকিৎসা করেনি তাদের।