মুম্বই: ভারতের সব রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের মধ্যে করোনা ভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা সবচেয়ে বেশি মহারাষ্ট্রে। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত এই রাজ্যে আক্রান্তের সংখ্যা ৬,৮১৭। মুম্বই, পুণেতে আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে। এই পরিস্থিতিতে মহারাষ্ট্র সরকারের চিন্তা বাড়ছে। সংক্রমণ ঠেকাতে ৩ মে-র পরেই লকডাউন তুলে নেওয়ার পক্ষে নয় মহারাষ্ট্র সরকার। সূত্রের খবর, জুন পর্যন্ত লকডাউন জারি থাকতে পারে।


মুম্বইয়ে গড়ে রোজ ২০০ জন করে আক্রান্ত হচ্ছেন। পুণেতেও আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে। এই দুই শহরই মহারাষ্ট্রের অর্থনীতির মেরুদণ্ড। লকডাউনের জেরে অর্থনীতি স্তব্ধ হয়ে গিয়েছে। মহারাষ্ট্র সরকার আর্থিক অবস্থা ফেরানোর জন্য কোনও পরিকল্পনা করেছে কি না, সেটা এখনও জানা যায়নি। তবে লকডাউন বাড়বে বলেই ইঙ্গিত পাওয়া গিয়েছে।

মহারাষ্ট্রের এক সরকারি আধিকারিক জানিয়েছেন, ‘এখনও পর্যন্ত মুম্বই ও পুণে এমএমআর অঞ্চল থেকে লকডাউন তুলে নেওয়ার কোনও পরিকল্পনা নেই। বরং করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বাড়তে থাকায় লকডাউন আরও কঠোর করতে হতে পারে।’

পুণে প্রশাসন ইতিমধ্যেই জানিয়ে দিয়েছে, সারা শহরকেই কনটেইনমেন্ট জোনে পরিণত করা হয়েছে। লকডাউন আরও কঠোরভাবে প্রয়োগ করা হচ্ছে। রোজ ২ ঘণ্টার জন্য অত্যাবশ্যকীয় পণ্য কেনার জন্য লোকজন বাড়ি থেকে বেরনোর অনুমতি পাচ্ছেন। এছাড়া দিনের অন্য সময় কাউকে বাড়ির বাইরে যাওয়ার অনুমতি দেওয়া হচ্ছে না। কেন্দ্রীয় দল পুণে পরিদর্শনে গিয়ে মে-র শেষ পর্যন্ত লকডাউন জারি রাখার পরামর্শ দিয়েছে। সেটাই অনুসরণ করতে চলেছে স্থানীয় প্রশাসন।

পুণের পাশাপাশি মুম্বইয়েও ৯৮৩টি কনটেইনমেন্ট জোন তৈরি করা হয়েছে।এর মধ্যে অর্ধেকই বস্তি অঞ্চলে। মহারাষ্ট্রের অন্যান্য অঞ্চলগুলিতেও করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে। নাসিকের মালেগাঁও অঞ্চলে আক্রান্তের সংখ্যা শতাধিক। নাগপুরেও আক্রান্ত শতাধিক। ফলে গোটা রাজ্যেই লকডাউনের মেয়াদ বাড়তে পারে।