পরশুরামের পুজো করতে হয় সকালে স্নান করার পর। পুজোর উপকরণ সামান্যই। জল ও ফুল দিয়েই পুজো করতে হয়। ধর্মীয় বিশ্বাস অনুযায়ী, হনুমান ও অশ্বত্থামার মতোই সশরীরে বিশ্বে আবির্ভাব হয় পরশুরামের। তিনি ন্যায়ের দেবতা।
ত্রেতাযুগে শ্রীরাম যখন শিবের ধনুক ভেঙে দেন, তখন মহেন্দ্র পর্বতে তপস্যা করছিলেন। তিনি ধনুক ভাঙার খবর পেয়ে রামের উপর রেগে যান। তবে পরে রামের বিষয়ে সব কথা জানার পর তিনি প্রসন্ন হন। তিনি রামের সঙ্গে সন্ধি করেন। এরপর যখন দ্বাপরযুগে শ্রীকৃষ্ণের আবির্ভাব হয়, তখন তাঁকে সুদর্শন চক্র ফিরিয়ে দেন পরশুরাম।
ভার্গব নামেও পরিচিত পরশুরাম। তিনি পশু-পাখির ভাষা বুঝতে পারতেন। সব ধরনের ফুল-ফলের সঙ্গেও তিনি পরিচিত ছিলেন। তবে তিনি অল্পেই ক্রুদ্ধ হয়ে যেতেন। পুরাণ অনুযায়ী, তিনি একবার শিবের সঙ্গে দেখা করতে কৈলাসে যান। কিন্তু তাঁর পথ আটকান গণেশ। এতেই ক্ষুব্ধ হয়ে গণেশের একটি পা ভেঙে দেন পরশুরাম।