তদন্তকারীরা জানিয়েছেন, অভিযুক্ত মন্ত্রী ঝাড়খণ্ডের চাতরা জেলার ইটখোরি অঞ্চলের আদি বাসিন্দা। তিনি একটি জনপ্রিয় ম্যাট্রিমনিয়াল সাইটের মাধ্যমে বিয়ের ফাঁদ পাতছিলেন। প্রথম বিয়ে করেন ২০১৫ সালে। স্বামী নিলয় কুমার গিরিডির বাসিন্দা। বিয়ের দু’বছর পরে স্বামীর কাছ থেকে এক কোটি টাকা নিয়ে পালিয়ে যান ওই মহিলা।
এরপর এই মহিলার দ্বিতীয় শিকার হন অমিত মোদি নামে গুজরাতের এক ব্যক্তি। এবারও ম্যাট্রিমনিয়াল সাইটের মাধ্যমে ফাঁদ পেতেছিলেন অভিযুক্ত। তিনি এক্ষেত্রেও সফল হন। বিয়ের পর অমিতের কাছ থেকে ৪০-৪৫ লক্ষ টাকা নিয়ে পালিয়ে যান তিনি। এরপর তাঁদের সম্পর্ক ভেঙে যায়। বিবাহ বিচ্ছেদের মামলাও দায়ের করা হয়। তবে সেই মামলা খারিজ করে দেয় আদালত। এরপর বোনের সঙ্গে দিল্লি যাওয়ার কথা বলে পালিয়ে যান অভিযুক্ত মহিলা।
তৃতীয়বার বিয়ের ফাঁদ পাততে গিয়েই ধরা পড়ে যান এই মহিলা। তিনি এবার বিয়ের কথা বলেন মহারাষ্ট্রের পুণের যুবক সুমিত দশরথের সঙ্গে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়ায় থাকেন সুমিত। তাঁর সঙ্গে ওই মহিলার বিয়ে ঠিক হয়। ঝাড়খণ্ডে গিয়ে পাসপোর্টের জন্য আবেদনও করেন ওই মহিলা। কিন্তু এরই মধ্যে তাঁর ফোনে অমিতের সঙ্গে তোলা একটি ছবি দেখে ফেলেন সুমিতের মা। তাঁর সন্দেহ হওয়ায় খোঁজ নেন। এরপরেই ধরা পড়ে যান ওই মহিলা। পাসপোর্ট অফিসে ভুল তথ্য দেওয়ার অভিযোগে তাঁর বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে। চাতরা পুলিশকে এই ঘটনার তদন্ত করার অনুরোধ জানিয়েছে পুণে পুলিশ।