রাষ্ট্রপুঞ্জের সংস্থার কাছ থেকে মেয়ের এই সম্মানে উচ্ছ্বসিত পরিবারের লোকজন। তার বাবা পি মোহন বলেছেন, তাঁরা একেবারেই সাধারণ মানুষ। তাঁদের পক্ষে এই সম্মান বিশাল ব্যাপারে। এমনটা যে হতে পারে, তা তিনি কখনও কল্পনাও করতে পারেননি।
কয়েকদিন আগে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি মন কি বাত অনুষ্ঠানে এই প্রসঙ্গের উল্লেখ করেছিলেন। প্রধানমন্ত্রী নেত্রার প্রশংসা করে বলেছিলেন যে, এই সংকটের সময় অভাবগ্রস্তদের সাহায্যে এগিয়ে এসে এক সেলুন দোকানের মালিকের মেয়ে যে কাজ করেছে, তা খুব বড় মন থাকলেই করা যায়।
তামিলনাড়ুর মন্ত্রী সেলুর রাজুও নেত্রার প্রশংসা করে বলেছিলেন যে, তিনি মুখ্যমন্ত্রী ই পালানস্বামীকে বলে নেত্রাকে প্রয়াত প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী জয়ললিতার নামে এক পুরস্কারে সম্মানিত করতে বলবেন।
নেত্রার বাবা মাদুরাইয়ে একটা ছোট্ট সেলুন চালান। বহু বছরের পরিশ্রমে মেয়ের শিক্ষার জন্য তিনি পাঁচ লক্ষ টাকা সঞ্চয় করেছিলেন তিনি। কিন্তু এই কঠিন সময়ে সঞ্চিত অর্থের পুরোটাই দুর্গত ও বঞ্চিতদের সাহায্য ব্যয় করেছেন তিনি।
ইউএনএডিএপি-এর এই স্বীকৃতির ফলে নেত্রা নিউইয়র্ক ও জেনেভায় আসন্ন রাষ্ট্রপুঞ্জের কনফারেন্সে সিভিল সোসাইটি ফোরামে বক্তব্য রাখার সুযোগ পেয়েছে।