মুম্বই: ভোটের ময়দানে তিনি নতুন। কিন্তু রাজনীতিতে রয়েছেন বেশ কয়েক বছর ধরে। আর এবার নির্বাচনে নেমেই অন্যান্য প্রার্থীদের পিছনে ফেললেন শিবসেনার আদিত্য ঠাকরে। দক্ষিণ-মধ্য মুম্বইয়ের ওরলি আসন থেকে নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী এনসিপির সুরেশ মানেকে ৬৭ হাজারের বেশি ভোটের ব্যবধানে হারিয়ে জয়ী হয়েছেন আদিত্য। তাঁকে জায়গা করে দিতে ওরলি আসনটি ছে়ড়ে দেন ওই কেন্দ্রের শিবসেনা বিধায়ক সুনীল শিণ্ডে।
শিবসেনা প্রতিষ্ঠাতা বালাসাহেব ঠাকরের নাতি আদিত্য। বাবা উদ্ধবের চেহারা ভিন্ন হলেও ঠাকুরদার সঙ্গে আদিত্যর মিল চোখে পড়ার মত। জন্ম ১৩ জুন, ১৯৯০। এখনও তিরিশে পড়েননি। শিবসেনার যুব শাখা যুব সেনার নেতৃত্বে রয়েছেন তিনি। ফুটবলেও আগ্রহ রয়েছে তাঁর, তিনি মুম্বই জেলা ফুটবল অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি। উদ্ধব ও রেশমি ঠাকরের দুই ছেলের মধ্যে আদিত্য বড়, ছোট ছেলে তেজসের রাজনীতিতে আসার ইচ্ছে নেই। আদিত্যের প্রাথমিক পড়াশোনা মুম্বইয়ের বম্বে স্কটিশ স্কুলে, তারপর সেন্ট জেভিয়ার্স কলেজ থেকে ইতিহাসে স্নাতক। আইন নিয়ে স্নাতকোত্তর করেন কেসি আইন কলেজ থেকে।
এর আগে ঠাকরে পরিবারের সঙ্গে যুক্ত একজনই ভোটে লড়েন, বাল ঠাকরের ভাইপো রাজের আত্মীয় জিতেন্দ্র ঠাকরের স্ত্রী শালিনী। এ বছর লোকসভা ভোটে হেরে যান তিনি। এরপর এবার আদিত্যর ভোটে লড়া।
কবিতা লিখতে ভালবাসেন আদিত্য। ২০০৭-এ প্রকাশিত হয় তাঁর প্রথম কবিতার বই মাই থটস ইন হোয়াইট অ্যান্ড ব্ল্যাক। গানও লেখেন তিনি, মুক্তি পেয়েছে তাঁর গানের অ্যালবাম 'উমিদ', এতে তাঁর লেখা ৮টি গান রয়েছে। তবে নিজে সাহিত্যের সঙ্গে যুক্ত থাকলেও ২০১০-এ রোহিনটন মিস্ত্রীর বই 'সাচ আ লং জার্নি' পুড়িয়ে ফেলে বিক্ষোভে যোগ দিতে দ্বিধা হয়নি তাঁর। অভিযোগ ছিল, ওই বইয়ে ঠাকরে পরিবার ও মরাঠিদের নিয়ে আপত্তিকর মন্তব্য রয়েছে।
মুম্বইয়ের বিখ্যাত নাইটলাইফকে আবার চাঙ্গা করে তুলতে চান ঠাকরে পরিবারের উত্তর প্রজন্মের এই নেতা। শপিং মল ও রেস্তোঁরাগুলি সারা রাত খোলা রাখার প্রস্তাব রেখেছেন তিনি। সুধীন্দ্র কুলকার্নিকে শিবসেনা যে কালি মাখিয়েছিল, তা সমর্থন করে চিঠি চালাচালি করেছেন।