ঔরঙ্গাবাদ: কারও করোনা ভাইরাস হয়েছে কি না, সেটা জানার জন্য সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির লালারস পরীক্ষা করা হয়। এই পরীক্ষা করতে গিয়ে নিজেদের জীবনের ঝুঁকি নিতে হচ্ছে চিকিৎসকদের। লালারস সংগ্রহ করতে ৩০ থেকে ৪০ সেকেন্ড লাগে। কিন্তু এই কাজ অত্যন্ত ঝুঁকির। এমনই জানিয়েছেন মহারাষ্ট্রের এক চিকিৎসক পুষ্কর দাহিওয়াল।


একটি সংবাদসংস্থাকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে এই চিকিৎসক জানিয়েছেন, ‘আমরা তিনদিন কাজ করি আর ১৪ দিন সেলফ কোয়ারেন্টিনে থাকি। ৬ ঘণ্টা ধরে কাজ করার সময় আমরা পার্সোনাল প্রোটেকটিভ ইক্যুইপমেন্ট পরে থাকি। এই সময় আমরা জল খাওয়ারও সুযোগ পাই না। আমরা যাতে রোগীদের সংস্পর্শে না আসি, তার জন্য যত দ্রুত সম্ভব কাজ শেষ করতে হয়। রোজ আমাদের ৮০ থেকে ১০০ জনের লালারস সংগ্রহ করতে হয়। এর জন্য আমরা ১০ থেকে ১২ সেন্টিমিটার লম্বা লাঠি ব্যবহার করি। সেই লাঠির মাধ্যমেই লালারস সংগ্রহ করা হয়। যাঁরা করোনা পরীক্ষা করাতে আসছেন, তাঁরা হাঁচি বা কাশি দেওয়ার আগেই নমুনা সংগ্রহের কাজ শেষ করতে হয়। দাঁতের ডাক্তার হিসেবে আমি এই কাজে দক্ষ। তবে সন্দেহজনক রোগীদের মধ্যে অনেকেই ভাবেন, তাঁরা আক্রান্ত নন। কিন্তু তাঁদের মনে আবার ভয়ও থাকে। তাঁরা ভাবেন, এই পরীক্ষা বিপজ্জনক। তাই তাঁদের ভাল করে বোঝাতে হয়।’

এই চিকিৎসক আরও জানিয়েছেন, ‘লালারসের নমুনা যদি গড়িয়ে পড়ে, তাহলে সমস্যা হয়। সেই কারণে চিকিৎসক, নার্স ও স্বাস্থ্যকর্মীদের সতর্ক থাকতে হয়। দ্রুত পরীক্ষা সেরে ফেলতে হয়। এক্ষেত্রে ভুলের কোনও সুযোগ নেই।’

ড. দাহিওয়াল আরও জানিয়েছেন, তিনি ২০০৮ সালে মুম্বইয়ের সেন্ট জর্জ হাসপাতালে ২৬ /১১ হামলায় আহতদের চিকিৎসা করেছিলেন। এখন করোনা আক্রান্তদের চিকিৎসা করতে গিয়ে সেই ঘটনার কথা তাঁর মনে পড়ছে।