ফলাফলের প্রবণতা অনুসারে ভাল ফল করতে চলেছে, বুঝে শিবসেনা ইঙ্গিত দিয়েছে, মুখ্যমন্ত্রী পদ তাদের টার্গেট। উদ্ধব সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে বলেন, ৫০-৫০ ফর্মূলা রূপায়ণের সময় হয়েছে। অমিত শাহ আমার বাড়ি এসেছিলেন (লোকসভা নির্বাচনের প্রাক্কালে)। তখন ওই রফা হয়েছিল। এবার তা কার্যকর করা হোক। শিবসেনা বিজেপির অনুরোধে কম আসনে লড়েছে। সবসময় যে আমাদেরই মানিয়ে নিতে হবে, এটা হতে পারে না। এবার কংগ্রেস-এনসিপি জোট অপ্রত্যাশিত ভাল ফল করার ইঙ্গিত দিচ্ছে। এনসিপি ৫৬, কংগ্রেস ৪৫টিতে এগিয়ে। অন্যদিকে ২০১৪-য় ১২২টি আসন পাওয়া বিজেপি নেমে এসেছে ৯৯-এ। কে পরবর্তী জোট সরকারের মুখ্যমন্ত্রী হচ্ছেন, তা নিয়ে জল্পনা, কৌতূহলের মধ্যেই উদ্ধব বলেন, বিজেপিকে ওই ফর্মূলা মনে করিয়ে দিতে চাই।
পাশাপাশি বিরোধীদেরও শিবসেনা সু্প্রিমো কটাক্ষ করেছেন, গত ৫ বছরের মতো সামনের ৫ বছরও তারা যেন না ঘুমোয়! তিনি জানিয়েছেন, জোটের ফলাফল নিয়ে তিনি নিজের দল ও বিজেপির সঙ্গেও আলোচনা করবেন, শান্তিপূর্ণ ভাবে, স্বচ্ছতার সঙ্গে যাতে পরবর্তী সরকার গড়ার জন্য ক্ষমতা বন্টনের সূত্র বেরয়, সেই চেষ্টাও করবেন।
পাশাপাশি এবারের ভোটের ফলাফলের প্রবণতার দিকে ইঙ্গিত করে তা ‘অনেকের চোখ খুলে দিয়েছে’ বলেও মন্তব্য করেন উদ্ধব। বলেন, রাজ্যবাসী গণতন্ত্রকে বাঁচিয়ে রেখেছেন। এনসিপি-কংগ্রেস জোটের প্রত্যাশার তুলনায় ভাল ফল করার উল্লেখ করে তিনি বলেন, কেউ এখন ইভিএম নিয়ে প্রশ্ন করবে না। রাজনৈতিক দলগুলিকে বাস্তবের মাটিতে পা রাখতে হবে। নয়তো মানুষ তাদের সঠিক স্থান দেখিয়ে দেবে।
প্রথম ভোটে লড়েই ওরলি থেকে জেতায় ছেলে আদিত্য ঠাকরেকে অভিনন্দন জানান উদ্ধব।