কংগ্রেস বিধায়ক শরদ রানপিসের এক প্রশ্নের উত্তরে একথা বলেন মালিক।
মহারাষ্ট্র বিধানসভার বাজেট অধিবেশনেই মুসলিম সংরক্ষণের লক্ষ্যে বিল আসছে বলে জানা গিয়েছে।
এনসিপি নেতা মালিক এও জানিয়েছেন যে, তাঁরা চাকরিতেও এ ধরনের সংরক্ষণের আয়োজন করা যায় কিনা, ভাবনাচিন্তা করছেন এবং এ ব্যাপারে রাজ্য সরকার আইনি পরামর্শ নিচ্ছে।
আদালতের নির্দেশ থাকা সত্ত্বেও রাজ্যের পূর্বতন উদ্ধব ঠাকরের শিবসেনা ও বিজেপি জোট সরকার মুসলিমদের জন্য সংরক্ষণের ব্যবস্থা করেনি বলে অভিযোগ করেন মালিক। তিনি বলেন, আমরা চলতি বিধানসভা অধিবেশনের শেষ নাগাদ মুসলিমদের সংরক্ষণ দেওয়ার চেষ্টা করব। আমরা ৫ শতাংশ সংরক্ষণের চেষ্টা করব।
গত নভেম্বরেই মহারাষ্ট্রে বিজেপি জোট ছেড়ে কংগ্রেস, এনসিপির হাত ধরে জোট সরকার গড়েছে শিবসেনা।
সুপ্রিম কোর্ট যে ৫০ শতাংশ সংরক্ষণের ঊর্ধ্বসীমা বেঁধে দিয়েছে, গত বছর ঘোষিত মারাঠাদের জন্য শিক্ষা ও চাকরিতে সংরক্ষণের সিদ্ধান্ত তাকে ইতিমধ্যেই ছাড়িয়ে গিয়েছে। তার পরও মুসলিমদের জন্য ৫ শতাংশ সংরক্ষণের উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে।
গত বছর জুনে বম্বে হাইকোর্ট পূর্বতন রাজ্য সরকারের মারাঠা সম্প্রদায়ের জন্য শিক্ষা ও সরকারি চাকরিতে সংরক্ষণের সিদ্ধান্ত বহাল রাখে, যদিও তার পরিমাণ রাজ্যের ভাবনা অনুসারে ১৬ থেকে ১৩ শতাংশে কমানোর নির্দেশ দেয়। মারাঠা সংরক্ষণের পদক্ষেপেই সংরক্ষণের ক্ষেত্রে সুপ্রিম কোর্ট নির্ধারিত ৫০ শতাংশের সীমা পেরিয়ে যায়। উদ্ধব ঠাকরের বর্তমান জোট সরকার এখনও জানায়নি, কীভাবে তারা এই ঊর্ধ্বসীমা মেনে চলবে।