নয়াদিল্লি: এবার শেয়ার বাজারেও হামলা চালাল করোনাভাইরাস।


করোনার বিশ্বজোড়া মহামারীর আশঙ্কায় বিনিয়োগকারীরা আন্তর্জাতিক বাজার থেকে অর্থ তুলে নিচ্ছেন, যা পরিস্থিতি ২০০৮-এর পর শেয়ার বাজারের এটিই খারাপতম সপ্তাহ। ভারতেও বাজারের ব্যাপক পতন ঘটেছে, বেলা ১০টায় বিএসই পড় যায় ১,১৪০ পয়েন্ট বা ২.৮৭ শতাংশ। নিফটি ৫০ পড়ে যায় ৩৫৩ পয়েন্ট।

নিফটি মেটাল, রিয়্যালটি, তথ্য প্রযুক্তি, ফার্মা- সব কিছুর চোখে পড়ার মত পতন ঘটে। স্টকের মধ্যে একই অবস্থা হয় টাটা মোটর্স, হিন্ডালকো, টাটা স্টিল, বেদান্ত এবং জেএসডব্লিউ স্টিলের। টেক মহীন্দ্রা, ইনফোসিস এবং উইপ্রো ৩.৭ শতাংশের বেশি পড়ে যায়।

বিশ্ব শেয়ার বাজারে ২০০৮-এর পর এত খারাপ সময় আর আসেনি। করোনাভাইরাসের ভয়ে যেভাবে বিনিয়োগকারীরা ঝুঁকিপূর্ণ বিনিয়োগ থেকে টাকা তুলে নিচ্ছেন, তাতে আর্থিক বৃদ্ধি বাধাপ্রাপ্ত হবে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। চিন, জাপান ও দক্ষিণ কোরিয়ার বাজার ইতিমধ্যেই বড়সড় ক্ষতির মুখোমুখি হয়েছে। জুলাই-অগাস্টে জাপানে অলিম্পিক গেমস হতে পারবে কিনা তা নিয়ে প্রশ্ন দেখা দেওয়ায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে তাদের বাজার। আমেরিকার বাজারেও শেয়ার বিক্রির হিড়িক লেগে গিয়েছে।

করোনাভাইরাসের জেরে ভারত সরকার জাপান, দক্ষিণ কোরিয়ার নাগরিকদের ভিসা অন অ্যারাইভাল সাময়িকভাবে বন্ধ করেছে। দক্ষিণ কোরিয়ায় করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ২,০২২, ১৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। শুধু ভারত নয়, দক্ষিণ কোরীয়দের নিজেদের দেশে আগমনে কড়াকড়ি করছে ৫০টির বেশি দেশ, হয় নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে, নয়তো যেতে হচ্ছে কোয়ারান্টাইনের মধ্য দিয়ে। এছাড়া ২৭টি দেশ দক্ষিণ কোরিয়া থেকে আসা বিদেশিদেরও ঢুকতে দিচ্ছে না।

এদিকে নেদারল্যান্ডসের এক ব্যক্তি করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। নেদারল্যান্ডসে ইনিই প্রথম করোনা রোগী। কিছুদিন আগে এই ব্যক্তি ইতালির লম্বার্ডি এলাকায় যান, তারপরই করোনায় আক্রান্ত হন। কোয়ারান্টাইনে রেখে তাঁর চিকিৎসা হচ্ছে।

চিন থেকে বিশ্বের নানা জায়গায় ছড়িয়ে পড়েছে ঘাতক করোনা ভাইরাস। চিনে এখনও পর্যন্ত সরকারিভাবে এই রোগে ২,৭০০-র বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছে।