চন্ডীগড়: অমৃতসরে জোড়া ফটকের কাছে দশেরার সন্ধ্যায় ট্রেন লাইনে দাঁড়িয়ে রাবণের কুশপুতুল পোড়ানো দেখতে দেখতে আকস্মিক ধেয়ে আসা ট্রেনের ধাক্কায় ছিন্নভিন্ন লোকজনের আর্থ-সামাজিক পরিচিতি জানতে বললেন ক্যাপ্টেন অমরিন্দর সিংহ। সেদিন মর্মান্তিক মৃত্যু হয়েছে ৫৯ জনের। জখম হয়েছেন ৭০-এর বেশি। শনিবার হাসপাতালে চিকিত্সাধীন আহতদের কয়েকজনের সঙ্গে দেখা করে মুখ্যমন্ত্রী স্তম্ভিত হয়ে যান। বিশেষ করে দুজন মহিলার সঙ্গে কথা বলে তিনি বাকরুদ্ধ হয়ে পড়েন। তাঁরা বাচ্চাকাচ্চা, স্বামীদের হারিয়েছেন মর্মান্তিক ট্রেন দুর্ঘটনায়। এঁদের একজনের শ্বশুরবাড়ির সকলেই সেদিন প্রাণ হারান। আক্ষরিক অর্থেই দুজনে একলা হয়ে পড়েছেন। জানা গিয়েছে, ওঁদের মতো সহায়সম্বলহীনদের জন্য যন্ত্রণা অনুভব করেছেন তিনি। মুখ্যমন্ত্রী মুখ্য সচিব সুরেশ কুমারকে বলেছেন, রাজ্য সরকার শুধু ৫ লক্ষ টাকা এককালীন ক্ষতিপূরণই যথেষ্ট নয়, আরও কিছু করতে হবে বলে মনে করছে, বিশেষ করে সেইসব লোকজনের জন্য, যারা গরিব পরিবারের। তিনি জানিয়েছেন, এরকম মর্মান্তিক দুর্ঘটনায় বেঁচে যাওয়া লোকজন যাতে খুব দ্রুত রাজ্য সরকারের পুনর্বাসন পান, তা সুনিশ্চিত করতে একটি যথাযথ সিস্টেম তৈরি হবে। রবিবার মুখ্যমন্ত্রী ট্রেন দুর্ঘটনার পর পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে বসে জেলা প্রশাসনের কর্তাব্যক্তিদের মৃতদের আর্থ-সামাজিক প্রোফাইল তৈরি করতে নির্দেশ দেন।
শুক্রবারের সন্ধ্যায় মৃতদের বেশিরভাগই যেহেতু পিছিয়ে পড়া, অর্থনৈতিক ভাবে দুর্বল পরিবারের, তাই তাদের রেশন, জামাকাপড় ও ওষুধপত্র সরবরাহের ব্যবস্থা করতে নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। দুর্ঘটনার পরপরই তৈরি হয় ক্রাইসিস ম্যানেজমেন্ট গ্রুপ, যার মাথায় আছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী ব্রহ্ম মহিন্দ্রা। মুখ্যমন্ত্রী তাদের সঙ্গে আজ ত্রাণ ও পুনর্বাসনের ব্যাপারে আলোচনায় বসে ওই পরিবারগুলির হাতে দ্রুত ক্ষতিপূরণের অর্থ তুলে দিতেও নির্দেশ দেন।