নয়াদিল্লি: নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর আজাদ হিন্দ সরকারের ৭৫তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষ্যে লাল কেল্লায় জাতীয় পতাকা উত্তোলন করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। আজাদ হিন্দ ফৌজকে উৎসর্গ করে তৈরি হতে চলা একটি সংগ্রহশালার ভিত্তিপ্রস্তরও স্থাপল করেছেন তিনি। একই সঙ্গে জানালেন, যে কোনওরকম সঙ্কটে উল্লেখযোগ্য ত্রাণ কার্য করা পুলিশকর্মীকে প্রতি বছর নেতাজির নামে পুরস্কৃত করা হবে।


প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, এ বছর থেকে প্রতি বছর যে সব পুলিশকর্মী যে কোনওরকম বিপর্যয় থেকে মানুষকে উদ্ধারে অসাধারণ সাফল্যের পরিচয় রাখবেন, তাঁদের দেওয়া হবে নেতাজির নামাঙ্কিত পুরস্কার। নেতাজির জন্মদিন ২৩ জানুয়ারিতে পুরস্কারের ঘোষণা করা হবে। প্রতি বছর ১৫ অগাস্ট স্বাধীনতা দিবসে লাল কেল্লা থেকে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন প্রধানমন্ত্রীরা। এ বছর সেই নিয়মের ব্যত্যয় ঘটিয়ে পরাধীন ভারতের প্রথম জাতীয় সরকারের প্রতিষ্ঠা দিবসে নরেন্দ্র মোদী লাল কেল্লা থেকে জাতীয় পতাকা তুললেন।




মাথায় আজাদ হিন্দ ফৌজের টুপি করে প্রধানমন্ত্রী স্বাধীনতা আন্দোলনে নেতাজির অবদান শ্রদ্ধার সঙ্গে ব্যাখ্যা করেন। তিনি বলেন, যে পিতা মাতা নেতাজি সুভাষচন্দ্র বোসের মত সন্তানের জন্ম দিয়েছেন, যিনি দেশের জন্য তাঁর সর্বস্ব দিয়েছেন, তাঁদের প্রতি আমি মাথা নত করছি। আজাদ হিন্দ ফৌজ শুধু একটি নামই নয়, এই সরকারের দেশের প্রতিটি ক্ষেত্রর জন্য নিজস্ব পরিকল্পনা ছিল। তাদের ছিল নিজেদের ব্যাঙ্ক, নিজস্ব মুদ্রা, নিজস্ব পোস্টেজ স্ট্যাম্প, এমনকী গোয়েন্দা ব্যবস্থা। নেতাজির লক্ষ্য ছিল একটাই, তা হল ভারতের স্বাধীনতা। তিনি এমন ভারতের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন যেখানে সকলের সমান অধিকার ও সমান সুযোগ থাকবে। এমন এক দেশের প্রতিশ্রুতি তিনি দিয়েছিলেন যা নিজস্ব ঐতিহ্যের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হবে, সব ক্ষেত্রে উন্নত হবে। বিভেদ করে শাসন করার নীতি পরিত্যাগ করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। স্বাধীনতার এত বছর পরেও সেই সব স্বপ্ন আজও অধরা রয়েছে।

কংগ্রেসকে আক্রমণ শানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, মাত্র একটি পরিবারের জন্য দেশের এই সন্তানদের ভুলে যাওয়া হয়েছে। লাখো মানুষের বলিদানের মাধ্যমে স্বরাজ এসেছে, আমাদের দায়িত্ব, সুরাজের সঙ্গে সেই স্বরাজ বজায় রাখা।