নয়াদিল্লি: জাভেদ আখতারকে খেলা হবে নিয়ে গান লেখার প্রস্তাব দিলেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মোদি সরকারের বিরুদ্ধে জাতীয় স্তরে বিদ্বজ্জনদের এককাট্টা করছেন তৃণমূল নেত্রী? জাভেদের পরিবর্তন-সওয়ালে তুঙ্গে জল্পনা। বাংলায় খেলা হবে-র নামে চলা হিংসাকেই কি সমর্থন? পাল্টা প্রশ্ন বিজেপির


বাংলা থেকে দিল্লিতে পৌঁছে গেছে তৃণমূলের ‘খেলা হবে’ স্লোগান। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দিল্লি সফরের মধ্যেই বুধবার সংসদেও সেই স্লোগান শোনা যায়। এবার বিধানসভা নির্বাচনের সেই স্লোগান নিয়ে গান লেখার জন্য, গীতিকার জাভেদ আখতারকে অনুরোধ জানালেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী। বৃহস্পতিবার পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকের পর সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলছিলেন জাভেদ আখতার। সেই সময় পশ্চিমবঙ্গের বিধানসভা নির্বাচনে তৃণমূলের খেলা হবে স্লোগান নিয়ে  এক প্রশ্নের উত্তর দিতে দিয়ে প্রখ্যাত গীতিকার বলেন, এই স্লোগান তো এখন বেশ জনপ্রিয় হয়ে গিয়েছে। এরইমধ্যে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জাভেদ আখতারকে অনুরোধ করেন, খেলা হবে নিয়ে একটা গান লিখে দিন।


বৃহস্পতিবার অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের দিল্লির বাসভবনে, মমতার সঙ্গে দেখা করতে যান জাভেদ আখতার ও তাঁর স্ত্রী শাবানা আজমি। প্রায় এক ঘণ্টা কথা হয় তাঁদের মধ্যে।  বৈঠকের পর মুখ্যমন্ত্রীর পাশে দাঁড়িয়ে, আগামী লোকসভা ভোটে কেন্দ্রে পরিবর্তনের ডাক দেন জাভেদ আখতার।


কবি ও গীতিকার জাভেদ আখতার বলেন, আমার মনে হয় পরিবর্তন প্রয়োজন আছে। যেভাবে মেরুকরণ, হিংসা, হচ্ছে এটা খারাপ। যদি দিল্লিতেই এইসব হয়, খুব খারাপ ব্যপার। এগুলি বন্ধ হওয়া দরকার।


২০১১-তে মমতা রাজ্যে পরিবর্তনের ডাক দিয়েছিলেন। সেখানে বামবিরোধী দলগুলি একজোট হয়েছিল। পাশাপাশি সমাজের বিশিষ্টজনরা অনেকে একজোট হয়েছিলেন। এবার জাভেদ যে পরিবর্তনের ডাক দিলেন, তাতে কি বাংলার মডেলেরই প্রয়োগ হচ্ছে? এমনই প্রশ্ন ঘোরাফেরা করতে রাজনৈতিক মহলে।


রাজধানীতে এই জল্পনা ঘোরাফেরা করলেও, এই নিয়ে কটাক্ষের সুর বিজেপির গলায়। বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ বলেছেন, এই সমস্ত শিল্পীদের প্রশ্ন করতে চাই, যেভাবে খেলা হবে-র নামে হিংসা চলছে, বিরোধীদের হত্যা করা হচ্ছে, সেটা কি সমর্থন করেন? যদি মনে করেন ঠিক হচ্ছে, তাহলে সমর্থন করবেন। গোটা দেশ বাংলার ভবিষ্যৎ নিয়ে চিন্তিত।


২০২৪-এর লোকসভা নির্বাচনে মোদি সরকারকে পরাস্ত করতে এখন থেকেই জোট গড়ার ডাক দিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। দিল্লি সফরে একের পর এক বিজেপি বিরোধী দলের নেতা-নেত্রীর সঙ্গে তাঁর সাক্ষাৎ অন্য মাত্রা যোগ করেছে জাতীয় রাজনীতিতে।


বুধবার কংগ্রেস সভানেত্রী সনিয়া গাঁধী ও সাংসদ রাহুল গাঁধীর সঙ্গেও বৈঠক করেন তিনি। বৃহস্পতিবার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে বৈঠক করেন ডিএমকে-র সাংসদ কানিমোঝি। উপস্থিত ছিলেন তৃণমূল সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ও।প্রায় ৪৫ মিনিট কথা হয় তাঁদের মধ্যে। তবে কী নিয়ে আলোচনা হয়েছে, তা নিয়ে প্রকাশ্যে কেউ কিছু বলেননি।