কলকাতা: বুনিয়াদপুরে কর্মিসভায় বুধবার দিল্লির হিংসা নিয়ে আগাগোড়া আক্রমণাত্মক মেজাজে পাওয়া গেল মুখ্যমন্ত্রীকে। দিল্লির ঘটনার উল্লেখ করে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বললেন, ‘ঘৃণার রাজনীতি করছে বিজেপি, বাংলার কথা বলতে লজ্জা করে না!’ তিনি অভিযোগ করেন, দিল্লির হিংসা থেকে নজর ঘোরাতে করোনা-ভাইরাস নিয়ে অতিরিক্ত প্রচার করছে কেন্দ্র। তাঁর এই মন্তব্যের কড়া নিন্দা করেছেন বিজেপি নেতা রাহুল সিনহা।

বুনিয়াদপুরের সভায় আর কী কী বললেন মমতা, দেখে নিন।

• কলকাতায় থাকলেও, জেলার সব খবর রাখি।
• আগের সরকার চাল, চিঁড়ে কিছুই দিত না, এখন দক্ষিণ দিনাজপুরে বিশ্ববিদ্যালয় হচ্ছে।
• দিল্লিতে নালার মধ্যে মৃতদেহ ভেসে উঠছে। দিল্লিতে কত মানুষ ঘরছাড়া হয়েছে। এখনও দিল্লির ৭০০ মানুষ নিখোঁজ। বহু মৃতদেহ এখনও শনাক্ত করা যায়নি।
• ঘৃণার রাজনীতি করছে বিজেপি। বাংলার কথা বলতে লজ্জা করে না!
• কাশ্মীর থেকে ১৩০ জনকে উদ্ধার করেছিলাম। সরকার অনেক কাজ করেছে। তাও বলছে রাজ্য সরকার কিছুই করে না।
• করোনা নিয়ে আতঙ্কের কিছু নেই। দিল্লি থেকে নজর ঘোরাতে করোনা-করোনা করা হচ্ছে।
• গোলি মারো বলছে, ক্ষমা চাইতে পারছ না! কলকাতা, আর দিল্লি-উত্তরপ্রদেশ এক নয়। উত্তরপ্রদেশে লাগাতার নারী নির্যাতন হয়। উত্তরপ্রদেশে নির্যাতিতাকে পুড়িয়ে মারা হয়েছে। তৃণমূলকর্মীরা মা-বোনেদের পাহারাদার হবেন।
• দলের খারাপ লোকের দরকার নেই। মানুষকে যে ভালবাসে, আমি তাকে ভালবাসব।
• আন্দোলন করতে গিয়ে জীবনে বহুবার মার খেয়েছি। দিল্লি আমাদের ওপর অনেক অত্যাচার করে। মানসিক ও অর্থনৈতিক অত্যাচার করে।
• দিল্লির অত্যাচারেও আমরা মাথা নত করিনি। অর্পিতাকেই দক্ষিণ দিনাজপুরের দায়িত্ব দিয়েছি। একটা নির্বাচনে হেরেছি, কিছু যায় আসে না।
• ‘বিজেপি বলছে ২০০ আসন দরকার। ১ থেকে ২৯৪টি আসনই আমার টার্গেট।
• গোলি মারো স্লোগানে অনেককে গ্রেফতার করেছি। রাস্তায় গোলি মারার স্লোগান, এত সাহস!
• গদ্দার কারা? কারা ভাগাভাগি করছে? বাংলায় এতগুলো আসন নিলে, কী দিয়েছে বিজেপি?
• আগে দিল্লি সামলাক, তারপর বাংলা দেখুক বিজেপি।
• বিজেপি-কংগ্রেস-সিপিএম এক হয়ে গিয়েছে। আমাদের কিছু লোক মদত দিয়েছে, তারা চিহ্নিত।
• তৃণমূল বন্দুকের সামনে লড়ে এই জায়গায় পৌঁছেছে।
• আমার বক্তব্যকে বিকৃত করা হচ্ছে। বাংলাদেশি নাগরিকদের ভারতীয় নাগরিক বলিনি। আমার বক্তব্য বিকৃত করলে আইনি ব্যবস্থা নেব।
• উদ্বাস্তু আন্দোলন আমি ভালো বুঝি। উদ্বাস্তুদের নিঃশর্ত জমির দলিল করিয়ে দিয়েছি।
• সাড়ে ৭ কোটি পরিবার স্বাস্থ্যসাথীর সুবিধা পাচ্ছে। কোনও হাসপাতাল ফেরালে ডিএমকে জানান।
• স্বাস্থ্যসাথীর সুবিধা না দিলে লাইসেন্স বাতিল। দারিদ্র দূরীকরণে বাংলা এক নম্বরে।
• গণতান্ত্রিকভাবে বিজেপির প্রচারকে ভোঁতা করতে হবে। দেশে শিল্প নেই, বেকারদের সংখ্যা বাড়ছে।
• রেল, বিএসএনএল, এয়ার ইন্ডিয়া বিক্রি করে দিচ্ছে। সব ব্যাঙ্ককে এক করে দিচ্ছে কেন্দ্রীয় সরকার।
• হিন্দু-হিন্দু করছে, এদিকে অসমে হিন্দুদের হঠাচ্ছে। আমরা কী খাব, তাও ঠিক করে দিচ্ছে বিজেপি। সিএএ নিয়ে ভয় দেখানো হচ্ছে। নাগরিকত্ব আইনের প্রয়োজন ছিল না। সিএএ-এনআরসি-এনপিআর এক বৃন্তে ৩টি কুসুম। নাগরিক কিনা বিজেপিকে কৈফিয়ত দিতে হবে?