পটনা: বিহারের মুখ্যমন্ত্রী তথা জনতা দল ইউনাইটেড(জেডিইউ) জাতীয় সভাপতি নীতীশ কুমারের দিকে চটি ছুঁড়লেন এক ব্যক্তি। চটি নীতীশের গায়ে না লাগলেও, ওই ব্যক্তিকে গণধোলাই দেয় দলীয় সমর্থকরা। পরে তাঁকে আটক করে পুলিশ।
বৃহস্পতিবার, লোকনায়ক জয়প্রকাশ নারায়ণের জন্মবার্ষিকী উপলক্ষ্যে একটি ছাত্র সম্মেলনের আয়োজন করেছিল জেডিইউ। সেখানেই মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন নীতীশ। পাশে ছিলেন দলের রাজ্য সভাপতি বশিষ্ঠ নারয়ণ সিংহ।
সেই সময় আচমকা দর্শকাসন থেকে নীতীশের দিকে চটি ছোঁড়েন চন্দন নামে ওই ব্যক্তি। চটি মঞ্চ পর্যন্ত না গিয়ে দর্শকের মধ্যেই গিয়ে পড়ে। এরপর ওই ব্যক্তিকে পাকড়াও করে বেধড়ক মারধর করে দলীয় সমর্থকরা। তাঁকে কিল-চড়-ঘুসি-লাথি মারা হয়। পরে পুলিশ এসে তাঁকে নিয়ে যায়।
কিন্তু, কেন এধরনের কাজ করলেন তিনি? চন্দনের দাবি, বৈষম্যমূলক সংরক্ষণ নীতির বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানাতেই তাঁর এই পদক্ষেপ। তাঁর অভিযোগ, বর্তমান নীতির ফলে তফশিলি জাতি, উপজাতিদের মধ্যে যাদের তুলনামূলকভাবে অবস্থা ভাল, তারাই উপকৃত হচ্ছে। অন্যদিকে, দলিত সম্প্রদায় আরও পিছিয়ে পড়ছে।
পুলিশ জানিয়েছে, ধৃত চন্দন ঔরঙ্গাবাদ জেলার বাসিন্দা। এদিন পুলিশ যখন তাঁকে উদ্ধার করে, তখন তাঁর সারা শরীরে মারের চোটে কালশিটে পড়ে গিয়েছে। বহু জায়গা কেটে-ছড়ে গিয়েছে। জামা-কাপড়ও ছিড়ে গিয়েছে।
প্রসঙ্গত, সাম্প্রতিক অতীতে বিহারে এই সংরক্ষণ অসন্তোষ ঘিরে একাধিক প্রতিবাদ-বিক্ষোভ হয়েছে। বহু নেতা-মন্ত্রীকে কালো পতাকা দেখানো হয়েছে।