নয়াদিল্লি: রাহুল গাঁধীর ‘ন্যূনতম আয় সুনিশ্চিত’ করার ঘোষণাকে কটাক্ষ মায়াবতীর। গরিবি হটাওয়ের মতো এটাও ভুয়ো প্রতিশ্রুতি কিনা, প্রশ্ন তুলেছেন বহুজন সমাজ পার্টি (বসপা)নেত্রী। ২০১৪-য় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নির্বাচনী প্রতিশ্রুতির সঙ্গে কংগ্রেস সভাপতির ঘোষণার তুলনা টেনেছেন তিনি।
কংগ্রেস সভাপতি গতকাল ছত্তিশগড়ের জনসভায় জানান, ২০১৯ এর নির্বাচনে জিতে ক্ষমতায় এলে তাঁর দল দেশের প্রতিটি গরিব মানুষের ‘ন্যূনতম আয়ের গ্যারান্টি’ দেবে। গরিব মানুষের ন্যূনতম আয় যাতে সুনিশ্চিত হয়, সেজন্য স্কিম চালু হবে। সদ্য পালাবদলের পর ছত্তিশগড়ে কংগ্রেসের সরকার গঠনের জন্য রায়পুরে রাজ্যবাসীকে অভিনন্দন জানাতে কিষাণ আভার সম্মেলনে রাহুল বলেন, কংগ্রেস নেতৃত্বাধীন সরকার ন্যূনতম আয়ের গ্যারান্টি দেবে। এর মানে, ভারতের প্রতিটি গরিবের ন্যূনতম আয় নিশ্চিত হবে। ভারতে ক্ষুধা, গরিবি থাকবে না। লোকসভা ভোটের আগে কংগ্রেসের সবচেয়ে বড় প্রতিশ্রুতি এটাই, দাবি করছে রাজনৈতিক মহল। ১ এপ্রিল কেন্দ্রের মোদি সরকারের শেষ বাজেট পেশের মাত্র কয়েকদিন আগে রাহুলের ঘোষণায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। সম্ভবত এপ্রিল-মে মাসে পরবর্তী সাধারণ নির্বাচন। ক্ষমতা ধরে রাখার প্রয়াসে মোদি সরকার ইতিমধ্যেই অসংরক্ষিত অংশের মধ্যে আর্থিক মাপকাঠিতে গরিব মানুষের জন্য চাকরি, শিক্ষায় ১০ শতাংশ সংরক্ষণ ঘোষণা করেছে। তারই পাল্টা রাহুলের এই ঘোষণা বলে মত রাজনৈতিক মহলের।





কিন্তু মায়াবতী এই প্রেক্ষাপটে কংগ্রেসকে বিজেপির পাশেই বসিয়ে তীব্র আক্রমণ করেন। বলেন, ‘গরিবি হটাও’ ও বর্তমান কেন্দ্রীয় সরকারের কালো টাকা দমন, ১৫ লক্ষ টাকা ও অচ্ছে দিনের প্রতিশ্রুতির মতোই মিথ্যা নয় তো এই আশ্বাস? কংগ্রেস ও বিজেপি, উভয়েই ব্যর্থ, প্রমাণ হয়েছে, দুজনেই একই মুদ্রার এপিঠ, ওপিঠ!
প্রসঙ্গত, সম্প্রতি উত্তরপ্রদেশে কংগ্রেসকে বাদ রেখেই নির্বাচনী সমঝোতা সেরে ফেলেছেন অখিলেশ-মায়াবতী। শুধু রাহুল, সনিয়ার কেন্দ্র অমেঠি, রায়বরেলিতে প্রার্থী দিচ্ছে না তারা। পাল্টা প্রিয়ঙ্কা গাঁধীকে পূর্ব উত্তরপ্রদেশের দায়িত্ব দিয়ে সাধারণ সম্পাদক পদে বসিয়ে দলীয় কর্মীদের চাঙ্গা করার পদক্ষেপ নিয়েছে কংগ্রেস।