অর্ণব মুখোপাধ্যায়, দীপক ঘোষ ও সমিত সেনগুপ্ত, আগরতলা ও কলকাতা: ত্রিপুরায় ফের দলীয় কর্মীরা আক্রান্ত হয়েছেন বলে অভিযোগ তৃণমূলের। আগরতলার কলেজে প্রচারে গেলে বাধা দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে এবিভিপি ও যুব মোর্চার বিরুদ্ধে। পাল্টা তৃণমূলের বিরুদ্ধে কলেজের গন্ডগোলে রাজনীতির রং লাগানোর অভিযোগ তুলেছে বিজেপি।
ফের উত্তপ্ত ত্রিপুরা। আবারও আগরতলায় তৃণমূলের নেতা-কর্মীদের ওপর হামলার অভিযোগ। বাংলার পাশাপাশি শনিবার বিজেপি শাসিত ত্রিপুরাতেও প্রতিষ্ঠা দিবস পালন করবে টিএমসিপি। শুক্রবার আগরতলার এমবিবি কলেজে প্রচারে যান এক টিএমসিপি নেত্রী। অভিযোগ, তাঁকে বাধা দেন আরএসএস-এর ছাত্র সংগঠন এবিভিপি ও বিজেপির যুব মোর্চার কর্মীরা।
ত্রিপুরার আক্রান্ত টিএমসিপি নেত্রী সোলাঙ্কি সেনগুপ্তর অভিযোগ, আমাকে ধরে নিয়ে গিয়েছিল...ভয় দেখিয়েছে...সেখান থেকে পালিয়ে থানায় এসেছি।
খবর পেয়ে কলেজে গেলে, এক যুব তৃণমূলের কর্মীকে মারধর করা হল বলেও অভিযোগ। তৃণমূলের অভিযোগ, প্রাথমিকভাবে পুলিশ কোনও পদক্ষেপ নেয়নি। পরে ঘটনাস্থলে আসে পুলিশ। তখন পুলিশের সঙ্গে এবিভিপি ও যুব মোর্চার কর্মীদের বচসা হয়।এমনকী পুলিশকেও হেনস্থা করা হয় বলে অভিযোগ তৃণমূলের।
ত্রিপুরা যুব তৃণমূল কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক পারমিতা সেনের অভিযোগ, সোলাঙ্কি কলেজে এসে বন্ধুদের সঙ্গে কথা বলছিল। আমাদের দলীয় কার্যকলাপে অংশ নেওয়ার জন্য। এবিভিপির ছেলেরা ঘিরে নেয়। টানতে টানতে নিয়ে আসা হয়।প্রশাসনের উদাসীনতা দেখে আমরা হতবাক।
ত্রিপুরা বিজেপির রাজ্য কমিটির সদস্য ভিক্টর সোম বলেছেন, এটা নিছকই কলেজের ছাত্রীদের মধ্যে ঝামেলা...রাজনীতির রং দেওয়ার চেষ্টা করছে তৃণমূল।
বেশ কিছুক্ষণ পরে, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে পুলিশ।
২০২৩-এর বিধানসভা ভোটকে পাখির চোখ করে ত্রিপুরায় পরপর কর্মসূচি নিচ্ছে তৃণমূল। তার মধ্যে কখনও অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের গাড়িতে হামলা,কখনও তৃণমূল সাংসদদের গাড়িতে হামলা। ঘিরে গত কয়েকদিনে বারবার উত্তপ্ত হয়েছে পরিস্থিতি। এরইমধ্যে শুক্রবার ফের ত্রিপুরা পৌঁছেছেন তৃণমূলের সাংসদ শান্তনু সেন ও রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ।