নয়াদিল্লি:  ভারত থেকে ফেরার হিরে ব্যবসায়ী মেহুল চোকসিকে নিষিদ্ধ অভিবাসী ঘোষণা করল ডমিনিকা। এরফলে  ভারতে প্রত্যর্পণ আটকাতে মেহুলের  আইনি লড়াই কঠিন হয়ে পড়ল বলেই মনে করা হচ্ছে।  ডমিনিকার জাতীয় নিরাপত্তা ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক মেহুলকে সে দেশ থেকে বের করে দিতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে বলেছে পুলিশকে। 
অন্যদিকে, মেহুলের আইনজীবী বিজয় অগ্রবাল গত সপ্তাহেই দাবি করেছিলেন যে, মেহুল বেআইনিভাবে ডমিনিকায় প্রবেশ করেননি। পুলিশ তাঁকে গ্রেফতার করতে পারে না। কারণ, তিনি 'নিষিদ্ধ অভিবাসী' নন। 


ডমিনিকার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক গত ২৫ মে মেহুল চোকসিকে নিষিদ্ধ অভিবাসী ঘোষণা করে নোটিস জারি করেছিল। অভিবাসন ও পাসপোর্ট আইনের ৫ (১) (১) ধারা অনুযায়ী প্রক্রিয়া অনুসারে, তাঁকে কমনওয়েল্থ অফ ডমিনিকা থেকে বের করে দেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু করতে পুলিশকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। ২৫ মে তারিখ উল্লিখিত নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, ডমিনিকার সংশোধিত আইনাবলী ২০১৭-র অভিবাসন ও পাসপোর্ট আইনে যে ক্ষমতা প্রদত্ত হয়েছে, এর ভিত্তিতে মেহুল চোকসিকে নিষিদ্ধ অভিবাসী ঘোষণা করা হচ্ছে। তাঁকে এখান থেকে সরিয়ে দিতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে হবে। 
ওই দিন মন্ত্রক মেহুল চোকসিকেও আলাদাভাবে নোটিশ পাঠিয়েছিল। এতে জানানো হয়েছিল, ডমিনিকায় তাঁর প্রবেশের অনুমতি নেই। নোটিসে তাঁকে প্রত্যর্পণের জন্য প্রয়োজনীয় সমস্ত ধরনের ব্যবস্থা নিতে পুলিশকে নির্দেশ দেওয়ার কথাও জানানো হয়েছিল।


মেহুল চোকসি ও তাঁর ভাইপো নীরব মোদির বিরুদ্ধে পঞ্জাব ন্যাশনাল ব্যাঙ্কের ১৩,৫০০ কোটি টাকার আর্থিক তছরূপের অভিযোগ রয়েছে। ভারত ইতিমধ্যেই মেহুবকে হাতে পেতে তৎপরতা শুরু করেছে ভারত। তাকে ভারতে ফেরানোর ব্যাপারে ডমিনিকার সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছে এবং তাঁর আর্থিক প্রতারনা সংক্রান্ত বিষয়ে প্রয়োজনীয় নথিপত্র ডমিনিকার কর্তৃপক্ষের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে। ডমিনিকার কাছে মেহুল চোকসিকে প্রত্যর্পণের আর্জি জানানো হয়েছে। 


মেহুলের তথাকথিত গার্লফ্রেন্ড বারবারা জারাবিকা তাঁদের মধ্যে সম্পর্ক ও অপহরণের তথ্য নিয়ে মুখ খুলেছেন। তিনি মেহুলকে অপহরণের অভিযোগ খারিজ করে দিয়েছেন। বারবার তাঁর কিউবা যাওযার পরিকল্পনার কথাও জানিয়েছেন। তিনি বলেছেন, অপহরণের কোনও ঘটনাই ঘটেনি। জলি হারবার এলাকা যাঁরা জানেন, তাঁরা বুঝতে পারবেন যে, সেখানে কোনও অপহরণ সম্ভব নয়। এটা একেবারে শান্তিপূর্ণ এলাকা, পারিবারিক এলাকা।