নয়াদিল্লি: সোমবার ‘বিশ্ব জল দিবস’। এই দিনটিতে ভার্চুয়াল মাধ্যমে এক অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। সেই অনুষ্ঠানেই দেশের প্রথম নদী সংযুক্তিকরণের বিষয়ে জলশক্তি মন্ত্রকের সঙ্গে উত্তরপ্রদেশ ও মধ্যপ্রদেশ সরকারের চুক্তি স্বাক্ষরিত হবে।

Continues below advertisement

প্রয়াত প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী অটলবিহারী বাজপেয়ীর আমলে প্রথমবার নদী সংযুক্তিকরণের পরিকল্পনা করা হয়েছিল। সেই সময় বলা হয়েছিল, দেশের যে অঞ্চলগুলিতে নদীর জল পর্যাপ্ত বা প্রয়োজনের তুলনায় অতিরিক্ত, সেখান থেকে জল নিয়ে খরাপ্রবণ অঞ্চলগুলিতে পৌঁছে দেওয়ার জন্যই নদী সংযুক্তিকরণের পরিকল্পনা করা হচ্ছে। তবে বাজপেয়ীর আমলে নদী সংযুক্তিকরণের পরিকল্পনা বাস্তবায়িত করা সম্ভব হয়নি। এবার মোদি সরকার সেই উদ্যোগ নিয়েছে। 

প্রধানমন্ত্রীর দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, কেন ও বেটোয়া নদীকে সংযুক্ত করার জন্য দওধন বাঁধ তৈরি করা হবে। এছাড়া একটি খালও কাটা হবে। এই প্রকল্প বাস্তবায়িত হলে প্রতি বছর ১০.৬২ লক্ষ হেক্টর জমিতে সেচের জল পৌঁছে দেওয়া সম্ভব হবে বলে জানা গিয়েছে। এছাড়া ১০৩ মেগাওয়াট জলবিদ্যুৎও তৈরি হবে।

Continues below advertisement

এই প্রকল্পের মাধ্যমে ৬২ লক্ষ মানুষের কাছে পানীয় জল পৌঁছে দেওয়া সম্ভব হবে। বুন্দেলখণ্ড অঞ্চল, মধ্যপ্রদেশের পান্না, টিকমগড়, ছাতারপুর, সাগর, দামো, দাতিয়া, বিদিশা, শিবপুরী ও রাইসেন জেলা এবং উত্তরপ্রদেশের বান্দা, মাহোবা, ঝাঁসি ও ললিতপুর জেলার মানুষ উপকৃত হবেন।

সোমবার ‘জল শক্তি’ বিষয়ক প্রচারাভিযান শুরু হচ্ছে, চলবে ৩০ নভেম্বর পর্যন্ত। দেশজুড়ে জল বাঁচানোর বিষয়ে প্রচার চলবে। বৃষ্টির জল ধরে রাখার উপর জোর দেওয়া হবে। প্রধানমন্ত্রী নিজে এ বিষয়ে উদ্যোগ নিয়েছেন। তিনি বৃষ্টির জল ধরে রাখার বিষয়ে দেশের সব মানুষকে সচেতন করার কথা বলেছেন। বৃষ্টির জল যাতে ধরে রাখা যায়, তার জন্য পরিকাঠামো তৈরির কথাও বলা হচ্ছে। 

জলশক্তি মন্ত্রক সূত্রে জানা গিয়েছে, দেশের যে পাঁচটি রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচন হচ্ছে, সেগুলি বাদ দিয়ে অন্য রাজ্যগুলিতে গ্রাম পঞ্চায়েতের মাধ্যমে জল সংরক্ষণের বিষয়ে প্রচার চালানো হবে। দেশের সবার কাছে ২০৩০-এর মধ্যে জল পৌঁছে দেওয়ার পরিকল্পনা করা হয়েছে।