নয়াদিল্লি: অবশেষে দেশের নানা রাজ্যে, শহরে আটকে থাকা অসংখ্য পরিযায়ী শ্রমিকের লকডাউনের মধ্যেই যাঁর যাঁর নিজের রাজ্যে ফেরার সম্ভাবনা উজ্জ্বল হল। বেশ কিছু শর্তে তাঁরা ঘরের লক্ষ্যে যাত্রা করতে পারবেন বলে জানিয়েছে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক। শুধু তাঁরাই নন, লকডাউন পর্বে ভিন রাজ্যে গিয়ে আটকে পড়া তীর্থযাত্রী, পর্যটক, পড়ুয়ারাও ঘরের লক্ষ্যে যাত্রার অনুমতি পাবেন। তবে কোভিড-১৯ আক্রান্ত, এমন কাউকে অনুমতি দেওয়া হবে না।
লকডাউন চালু হওয়ার মধ্যেই দেশের বিভিন্ন রাজ্যে কর্মরত শ্রমিকরা কলকারখানা বন্ধের জেরে রুটি-রুজির ভবিষ্যত ঘিরে অনিশ্চয়তার মধ্যেই ঘরের উদ্দেশ্যে বেরিয়ে পড়েন। হাজার হাজার কিলোমিটার রাস্তা হেঁটেই নিজের গ্রাম, শহরে ফিরতে চেয়ে অবশ্য সফল হননি অনেকেই। করোনাভাইরাস সংক্রমণের আশঙ্কায় নানা জায়গায় তাঁদের আটকে দেয় সংশ্লিষ্ট রাজ্যের প্রশাসন।
কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক এঁদের ঘরে ফেরার ব্যাপারে সব রাজ্যকে নোডাল কর্তৃপক্ষ নিয়োগ করতে, এধরনের আটকে থাকা লোকজনকে পাঠানো, গ্রহণ করার ব্যাপারে স্ট্যান্ডার্ড প্রটোকল অর্থাত মানানসই নিয়মবিধি তৈরি করতে বলেছে।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের গাইডলাইন অনুসারে পরিযায়ী শ্রমিক বা এমন বাকি সবার রওনা দেওয়ার জায়গায় ও গন্তব্যস্থলে স্বাস্থ্য পরীক্ষার ব্যবস্থা করতে হবে, তাঁদের নির্দিষ্ট গন্তব্যে পৌঁছনোর পর প্রয়োজনমতো হোম বা প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিনে পাঠাতে হবে।
গাইডলাইনে বলা হয়েছে, নোডাল কর্তৃপক্ষকে নিজেদের রাজ্য বা কেন্দ্রশাসিত এলাকার পরিধির মধ্যে আটকে পড়া লোকজনের পঞ্জি তৈরি করতে হবে।
আটকে পড়া পরিযায়ী শ্রমিক ও অন্যদের কোয়ারেন্টিনে রেখে নিয়মিত সময়ে সময়ে স্বাস্থ্য সংক্রান্ত চেক আপ করাতে হবে এবং এজন্য স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক তাদের আরোগ্য সেতু অ্যাপ ব্যবহার করতে বলেছে। ওই অ্যাপের মাধ্যমে তাঁদের শরীর, স্বাস্থ্যের অবস্থা পর্যবেক্ষণ করা যাবে।
আটকে পড়া শ্রমিক, অন্যদের গন্তব্যে নিয়ে যাওয়ার জন্য বাসের আয়োজন করতে হবে। বাসগুলি স্যানিটাইজ করতে হবে, তাতে বসার সময়ও সোস্যাল ডিস্ট্যান্সিংয়ের নিয়মবিধি মানতে হবে। এই বাস যেসব রাজ্য বা কেন্দ্রশাসিত এলাকার মধ্যে দিয়ে যাবে, তাদের এধরনের মানুষের পরিবহণে সম্মতি দিতে হবে। একদল আটকে পড়া লোক এক রাজ্য থেকে আরেক রাজ্যে যেতে চাইলে সংশ্লিষ্ট রাজ্যগুলি নিজেদের মধ্যে আলোচনা করে পারস্পরিক সম্মতি দিতে পারে।