জঙ্গি থেকে সেনা হয়ে ওঠা শহিদ ল্যান্স নায়েক নাজির আহমেদ ওয়ানিকে অশোক চক্র সম্মান
Web Desk, ABP Ananda | 24 Jan 2019 08:40 PM (IST)
নয়াদিল্লি: একসময় জঙ্গিদের দলে থাকলেও, পরবর্তীকালে সন্ত্রাসবাদী কার্যকলাপ ছেড়ে সেনাবাহিনীতে যোগ দিয়ে অসামান্য বীরত্বের পরিচয় দেন। গত নভেম্বরে জম্মু ও কাশ্মীরের শোপিয়ানে সন্ত্রাসবাদীদের বিরুদ্ধে অভিযানে গিয়ে শহিদ হন ল্যান্স নায়েক নাজির আহমেদ ওয়ানি। তাঁকেই এবার যুদ্ধ না চলাকালীন সময়ে সাহসিকতার জন্য দেশের সর্বোচ্চ পুরস্কার অশোক চক্র দেওয়া হচ্ছে। প্রজাতন্ত্র দিবসে নাজিরের স্ত্রী মহাজীবনের হাতে এই সম্মান তুলে দেবেন রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ। সেনাবাহিনীর এক আধিকারিক জানিয়েছেন, ২০০৪ সালে জম্মু ও কাশ্মীর লাইট ইনফ্যান্ট্রির ১৬২ ইনফ্যান্ট্রি ব্যাটালিয়নে যোগ দেন নাজির। তাঁর বাড়ি জম্মু ও কাশ্মীরের কুলগাম জেলার চেকি আশমুজিতে। শুরু থেকেই অসাধারণ বীরত্ব ও সাহসিকতার পরিচয় দিতে থাকেন নাজির। তিনি সবসময় জম্মু ও কাশ্মীরে শান্তি স্থাপনের চেষ্টা করতেন। সাহসিকতার জন্য ২০০৭ ও ২০১৮ সালে সেনা পদক পান তিনি। গত ২৫ নভেম্বর শোপিয়ানের বাতগুন্ডের কাছে হীরাপুর গ্রামে জঙ্গিদের বিরুদ্ধে অভিযানে গিয়ে শহিদ হন তিনি। তাঁর মাথা সহ শরীরের বিভিন্ন অংশে গুলি লেগেছিল। তবে বীরের মৃত্যুবরণ করার আগে তিনি লস্কর-ই-তৈবার জেলা কমান্ডার ও এক বিদেশি জঙ্গিকে খতম করে দেন। আরও এক জঙ্গিকে জখম করেন তিনি। নাজিরের এক সহকর্মী জানিয়েছেন, ‘ওয়ানি সবসময় দেশের স্বার্থে কাজ করত। ও কাশ্মীরে রাষ্ট্রীয় রাইফেলের হয়ে কাজ করত। সবসময়ই ঝুঁকি নিয়ে কাজ করত ওয়ানি। অন্যদের কাছে ও অনুপ্রেরণা ছিল। ও সবসময় সমাজের পিছিয়ে থাকা অংশের জন্য কাজ করত। নিজের গ্রাম এবং আশেপাশের অঞ্চলের উন্নতির জন্যও কাজ করত ওয়ানি।’ পেশায় শিক্ষিকা স্ত্রী মহাজীবন ছাড়াও নাজিরের দুই ছেলে আখতার (২০) ও শাহিদ (১৮) বর্তমান। মহাজীবন জানিয়েছেন, তিনি প্রয়াত স্বামীর কথা বলে শিশুদের সঠিক পথ দেখানোর চেষ্টা করছেন।