নিহত মহিলাকে নিগিনা বানো নামে শনাক্ত করেছে পুলিশ। ২০১৭-য় একই কায়দায় বানোর বাড়ি চড়াও হয়ে তাঁর স্বামী মহম্মদ ইউসুফ লোনকে খতম করেছিল জঙ্গিরা। ঘটনার পরপরই হামলাকারী জঙ্গিদের সন্ধানে তল্লাসি অভিযানে নামে সেনা ও স্পেশাল অপারেশন গ্রুপের (এসওজি) যৌথ দল।
ঘটনাচক্রে উত্তেজনা, আশঙ্কার আবহাওয়ার মধ্যেই বুধবার সীমান্ত রাজ্যে ঈদ পালিত হচ্ছে। পুলওয়ামায় গত ১৪ ফেব্রুয়ারি জঈশ-ই-মহম্মদ জঙ্গির আত্মঘাতী মানববোমা হামলায় ৪০ সিআরপিএফ জওয়ানের মৃত্যু দিয়ে শুরু। তারপর প্রায়ই সেখানে সন্ত্রাসবাদী হামলা ঘটছে। সবচেয়ে বেশি সক্রিয় জঙ্গি ঘাপটি মেরে আছে সেখানেই।
আজ সকালে ঈদের প্রার্থনার পর শ্রীনগরের নানা জায়গায় নিরাপত্তাবাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষে জড়ায় বিক্ষোভকারীরা। শ্রীনগরের নাওহাট্টায় নাকি মুখোশে মুখঢাকা যুবকরা নিষিদ্ধ জঈশ প্রধান মাসুদ আজহার ও নিগত জঙ্গি কমান্ডার জাকির মুসার সমর্থনে লেখা ব্যানার নিয়ে বিক্ষোভ দেখায়। যদিও এ খবরের সত্যতা খতিয়ে দেখছে পুলিশ। উত্তর কাশ্মীরের সোপোর, দক্ষিণের অনন্তনাগেও দুপক্ষের সংঘর্ষের খবর মিলেছে। নিরাপত্তাবাহিনীকে টার্গেট করে পাথর ছোঁড়ে বিক্ষোভকারীরা। তবে নিরাপত্তাবাহিনী সংযম দেখিয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
তার মধ্যেই ঈদগা, মসজিদে মসজিদে মানুষের ঢল নামে ঈদের প্রার্থনা জানাতে। সবচেয়ে বেশি জনসমাগম হয় হজরতবাল মসজিদে। সোনাওয়ার, সৌরা ধর্মস্থানেও বহু মানুষ হাজির হন।