নয়াদিল্লি: গত ২৬ জুন জম্মুর এয়ারফোর্স স্টেশনে বিস্ফোরণ ঘটিয়ে উড়ে যায় ড্রোন। এরপর একাধিকবার জম্মু ও কাশ্মীরের আকাশে ড্রোন-আতঙ্ক তৈরি হয়। তবে এরই মধ্যে সোমবার ১০টি সংস্থাকে শর্তসাপেক্ষে ড্রোন ওড়ানোর অনুমতি দিল অসামরিক বিমান পরিবহণ মন্ত্রক ও ডিরেক্টরেড জেনারল অফ সিভিল অ্যাভিয়েশন। এর মধ্যে চারটি সংস্থা মহারাষ্ট্রের, একটি পশ্চিমবঙ্গের, একটি গ্যাংটকের, একটি কর্ণাটকের, একটি তেলঙ্গানার, একটি গুজরাতের এবং একটি চেন্নাইয়ের।
অসামরিক বিমান পরিবহণ মন্ত্রকের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, এক বছরের জন্য এই ১০টি সংস্থাকে শর্তসাপেক্ষে ড্রোন ওড়ানোর অনুমতি দেওয়া হচ্ছে। অনুমোদন দেওয়া থেকে এক বছর বা পরবর্তী নির্দেশিকা পর্যন্ত যেটি আগে হবে, তার ভিত্তিতেই এই অনুমোদন বৈধ থাকবে।
পশ্চিমবঙ্গের যে সংস্থাটি ড্রোন ওড়ানোর অনুমতি পেয়েছে, সেটি হল পশ্চিম বর্ধমানের বার্নপুরের স্টিল অথরিটি অফ ইন্ডিয়া লিমিটেড (সেল), ইসকো স্টিল প্ল্যান্ট। স্টিল প্ল্যান্টের উপর নজরদারি চালানোর জন্যই ড্রোন ওড়ানোর অনুমতি দেওয়া হয়েছে।
অসমারিক বিমান পরিহণ মন্ত্রকের পক্ষ থেকে এক বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, ‘১০টি সংস্থাকে আনম্যানড এয়ারক্র্যাফট সিস্টেম রুলস, ২০২১ থেকে ছাড় দেওয়া হয়েছে। বেঙ্গালুরুতে শহরাঞ্চলে সম্পত্তির মালিকানা সংক্রান্ত নথি তৈরির জন্য ড্রোনের মাধ্যমে জরিপ করা হবে। মুম্বইয়ের ন্যাশনাল হেলথ মিশন ড্রোনের মাধ্যমে মহারাষ্ট্রের পালঘর জেলার জওহর অঞ্চলে চিকিৎসা সংক্রান্ত প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম পাঠানোর অনুমতি পেয়েছে। গ্যাংটক স্মার্ট সিটি ডেভেলপমেন্ট প্রোজেক্ট ড্রোনের মাধ্যমে স্মার্ট সিটি প্রকল্পের বিষয়ে জরিপ করবে। পাইলটদের প্রশিক্ষণের জন্য ড্রোন ব্যবহার করবে এশিয়া প্যাসিফিক ফ্লাইট ট্রেনিং অ্যাকাডেমি ও ব্লু রে অ্যাভিয়েশন। ফসলের যাতে ক্ষতি না হয়, তার জন্য ড্রোনের মাধ্যমে নজরদারি চালাবে এবং কীটনাশক ছড়াবে ট্রাক্টরস অ্যান্ড ফার্ম ইক্যুইপমেন্ট লিমিটেড। মাহিন্দ্রা অ্যান্ড মাহিন্দ্রা সংস্থাও ড্রোনের মাধ্যমে ফসলের উপর নজরদারি চালাতে পারবে। ড্রোনের মাধ্য়মে কৃষিক্ষেত্রে গবেষণার কাজ চালাবে বেয়ার ক্রপ সায়েন্স। পুণের ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অফ ট্রপিক্যাল মেটেরলজি ড্রোনের মাধ্যমে পরিবেশ বিষয়ক গবেষণা চালাবে।’