রাশিয়ায় তৈরি এই এ এন ৩২-তে ১৩ জন ছিলেন, তাঁদের মধ্যে ৫ জন যাত্রী, ৮ জন ক্রু। আজ সকাল ৭.৩০টা থেকে সরকারিভাবে বিমানটির সন্ধান মিলছে না। বিমান যাচ্ছিল চিন সীমান্ত থেকে ৩৫ কিলোমিটার দূরে, অরুণাচলের মেঞ্চুকা এলাকায়, অসমের জোরহাট থেকে রওনা দেওয়ার ৩৩ মিনিটের মাথায় সেটি নিখোঁজ হয়ে যায়। বায়ুসেনা জানিয়েছে, জোরহাট থেকে গতকাল বেলা ১২টা ২৭ মিনিটে রওনা দেয় বিমানটি। শেষ তার সঙ্গে যোগাযোগ করা যায় ১টার সময়।
সি ১৩০জে, এএন ৩২ ও এমআই ১৭ হেলিকপ্টার তিনটি হারিয়ে যাওয়া বিমানের খোঁজ করছে বলে বায়ুসেনা জানিয়েছে। সাহায্য করছে সেনা, বিভিন্ন সরকারি, বেসরকারি এজেন্সি। সম্ভবত দুর্ঘটনায় পড়েছে বিমানটি কিন্তু কোও ধ্বংসাবশেষ নজরে আসেনি এখনও। কাল সারারাত আকাশপথে চলেছে তল্লাশি, একইভাবে মাটিতে তল্লাশি চালিয়েছে সেনা।
প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিংহ বলেছেন, বায়ুসেনার সহ প্রধান এয়ার মার্শাল রাকেশ সিংহ ভাদাউরিয়ার সঙ্গে তিনি এই বিমানের নিখোঁজ হওয়া নিয়ে কথা বলেছেন, প্রার্থনা করছেন, বিমানে থাকা সকলে যেন সুস্থ থাকেন।
এর আগে ২০০৯-এর জুনে অরুণাচলেরই পশ্চিম সিয়াং জেলায় এমনই এক এ এন ৩২ বিমান ভেঙে পড়ে, বিমানে থাকা ১৩ জনেরই মৃত্যু হয়। মেঞ্চুকা থেকে ৩০ কিলোমিটার দূরে দূর্ঘটনাটি ঘটে। ২০১৬-র জুলাইতে চেন্নাই থেকে পোর্ট ব্লেয়ার যাওয়ার পথে নিখোঁজ হয়ে যায় আর এক এ এন ৩২। বিমানে ২৯ জন ছিলেন। সমুদ্রে ২,১৭,৮০০ বর্গ নটিক্যাল মাইল তল্লাশি চালিয়েও ওই বিমানের সন্ধান মেলেনি।