নয়াদিল্লি ও কলকাতা: ‘মিশন শক্তি’-র সাফল্যে এই অভিযানের সঙ্গে জড়িত বিজ্ঞানীদের প্রশংসা করলেও প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সমানোচনা করলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
এদিন একের পর এক টুইটের মাধ্যমে প্রতিক্রিয়া দেন তৃণমূলনেত্রী। বলেন, বহু বছর ধরেই ভারতের মহাকাশ গবেষণা বিশ্বমানে পৌঁছে গিয়েছে। আমরা ডিআরডিও সহ দেশের মহাকাশ ও অন্যান্য বিজ্ঞানীর নিয়ে গর্বিত।





মমতা বলেন, মহাকাশ গবেষণা ও উন্নয়ন একটি ধারাবাহিক প্রক্রিয়া। বরাবরের মতোই, মোদি সব কিছুর জন্য নিজেকে কৃতিত্ব দিতে চান। আসল কৃতিত্বের দাবিদার হলেন আমাদের দেশের বিজ্ঞানী ও গবেষকরা।
এদিনের ঘোষণা হল মোদির চূড়ান্ত নাটকীয়তা এবং আত্মপ্রচারের উদাহরণ। নির্বাচনের সময় তিনি যে এসব করে সস্তা রাজনৈতিক ফায়দা তুলতে চাইছেন, তা নিয়ে কোনও সন্দেহ নেই। একইসঙ্গে, এটি নির্বাচনী বিধিভঙ্গের সামিল।



মমতার কটাক্ষ, এক্সপায়রি ডেট পেরিয়ে যাওয়া একটি সরকারের এত তড়িঘড়ি এই অভিযান সম্পন্ন করা এবং তার ঘোষণা করার কোনও প্রয়োজন ছিল না। দেখে মনে হচ্ছে, এটা যেন বিজেপির ডুবতে বসা নৌকা থেকে শ্বাস নেওয়ার মরিয়া চেষ্টা। আমরা নির্বাচন কমিশনের কাছে অভিযোগ জানাব।



প্রসঙ্গত, এদিন মিশন শক্তি-র সাফল্য ঘোষণা করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। জাতির উদ্দেশে ভাষণে বলেন, অ্যান্টি স্যাটেলাইট মিসাইলে ধ্বংস করা হয়েছে কাজে না লাগা কৃত্রিম উপগ্রহকে। সফল এই অপরেশনের ফলে আমেরিকা, রাশিয়া ও চিনের পরই উঠে এল ভারতের নাম। প্রধানমন্ত্রীর দাবি, ভারত মহাকাশে অস্ত্র প্রতিযোগিতার বিপক্ষে, এই নীতির কোনও বদল হয়নি। দেশের ১৩০ কোটি মানুষের নিরাপত্তার জন্যেই এই মহাকাশ গবেষণা। এই সাফল্য ভবিষ্যতে ভারতকে আরও বেশি সুরক্ষিত রাখবে বলে দাবি প্রধানমন্ত্রীর।