গুয়াহাটি: জীবনে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ দেখেছেন। ১৯৬৬ সালে মিজোরামের অস্থির সময়ে অসমের হাফলং-এ ২ বছর গা ঢাকা দিয়েছিল তাঁর পরিবার। প্রতিকূল পরিস্থিতিতে শিড়দাঁড়া শক্ত করে দাঁড়াতে জানেন তিনি। তাই এই ৯৫ বছর বয়সেও তিনি লড়ছেন করোনার বিরুদ্ধে। নিজের মাসিক পেনশনটুকু তুলে দিচ্ছেন মিজো সরকারের হাতে। শুধু তাই নয়, নিজে হাতে সেলাই করে তৈরি করছেন মাস্ক। গরিব মানুষকে যাতে মাস্ক ছাড়া না ঘুরতে হয়, সেই কথা ভেবেই তাঁর এই উদ্যোগ।
সম্প্রতি মিজোরামের মুখ্যমন্ত্রী, সকলকে এই ৯৫ এর বৃদ্ধার(Pi Nghakliani)গল্প শুনিয়েছেন। তাঁর স্বামী ছিলেন মিজোরামের বিধায়ক পু লালরিনলিয়ানা। মিজোরামে অনেক কঠিন সময়ের সাক্ষী তাঁরা। তাই এই কঠিন পরিস্থিতিতেও নিজের সম্বলটুকু দিয়ে রাজ্যকে সাহায্য করতে চান তিনি।
বৃদ্ধার পুত্রবধূ জানিয়েছেন, ৯৫ বছর বয়স হলেও দৃষ্টিশক্তির কোনও সমস্যা নেই তাঁর।
তাই প্রতিদিন প্রায় ১০-২০ টা মাস্ক তৈরি করছেন তিনি।
করোনা পরিস্থিতিতে সেখানে ১০ টাকার চিনা মাস্ক বিক্রি হচ্ছিল ১০০-১৫০ টাকায়। তাই নিজে হাতে মাস্ক তৈরি করে গরিব মানুষদের কাছে পৌঁছে দিতে চান তিনি।
মিজোরামের এই প্রাক্তন বিধায়ক পত্মীর গল্প এখন অনেকের অনুপ্রেরণা।