Cash for parent of most children: বছর তিনেক আগে  ইয়ং মিজো অ্যাসোসিয়েশন (ওয়াইএমএ) উপজাতির লোকজনকে বেশি সন্তানের জন্ম দেওয়ার আর্জি জানিয়েছিল। এই সংগঠন বেশ প্রভাবশালী। নাগরিক সমাজের সংগঠনগুলির দ্বারা বেশি সন্তান জন্ম দেওয়ার ব্যাপারে উদ্যোগকে উৎসাহিত করতে   মিজোরামের এক মন্ত্রী  তাঁর নির্বাচনী ক্ষেত্রের অন্তর্গত এলাকায় সবচেয়ে সন্তানের জন্মদাতা ১৭ দম্পতিকে আড়াই লক্ষ টাকা ও স্মারক পত্র বন্টন করলেন। মঙ্গলবার রাজ্যের ক্রীড়ামন্ত্রী রবার্ট রোমাবিয়া রয়তে তাঁর বিধানসভা ক্ষেত্রে আইজল ২ তে এই অর্থ ও স্মারক পত্র বিলি করেছেন।  


রয়তে স্থানীয় বাসিন্দাদের মধ্যে আরআরআর নামে পরিচিত।  তিনি তাঁর বিধানসভা এলাকায় জনসংখ্যাগত দিক থেকে ক্ষুদ্র মিয়ো সম্প্রদায়ের জনসংখ্যা বৃদ্ধিকে উৎসাহিত করতে গত জুনে ফাদার্স ডে উপলক্ষ্যে সর্বাধিক সন্তান জন্মদাতা বাবা-মাকে এক লক্ষ টাকা নগদ পুরস্কার প্রদানের ঘোষণা করেছিলেন। রয়তে  এক্ষেত্রে ‘প্রথম পুরস্কার’ দিয়েছেন তুইথিয়াং এলাকার এক বিধবা এনগুরাউভিকে। তিনি ১৫ সন্তানের জননী। এরমধ্যে সাত জন পুত্রসন্তান। তাঁকে দেওয়া হয়েছে ১ লক্ষ টাকা। ছিঙ্গা ভেং এলাকার বাসিন্দা ওপর এক স্বামীহারা মহিলা লিয়ানথাঙ্গি পেয়েছেন ‘দ্বিতীয় পুরস্কার’। লিয়ানথাঙ্গিকে দেওয়া হয়েছে ৩০ হাজার টাকা ও একটি প্রশস্তিপত্র। লিয়ানথাঙ্গি ১৩ সন্তানের জননী।


দুই ও এক পুরুষ ২০ হাজার টাকা করে নগদ পুরস্কার পেয়েছেন। তাঁদের ১২ টি করে সন্তান রয়েছে। এছাড়াও আটটি করে সন্তানদের ১২ জন বাবা-মাকে পাঁচ হাজার টাকার সান্ত্বনা পুরস্কার ও প্রশস্তিপত্র দেওয়া হয়েছে। সংবাদসংস্থার সঙ্গে কথা বলতে গিয়ে রয়তে জানিয়েছেন, মিজো জনসংখ্যার বৃদ্ধির হারে নিম্নমুখীতা একটি বড় সমস্যা। 
জনগণনার তথ্য অনুযায়ী, রাজ্যে ২০১১-তে জনসংখ্যা ছিল ১০.৯৭ লক্ষ, যা ২০০১-এর জনগণনার তুলনায় ২৩.৪৮ শতাংশ বেশি। মিজোরাতে ১৯৭১-১৯৮১ সময়পর্বে ব্যাপক জনসংখ্যা বৃদ্ধি হয়েছিল। ওই সময় জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার ছিল ৪৮.৫৫ শতাংশ। নিজের কাজের সপক্ষে সওয়াল করতে গিয়ে মন্ত্রী বলেছেন, মিজোরামের উন্নতির জন্য যত লোক প্রয়োজন, জনসংখ্যা তার তুলনায় খুবই কম। 


মন্ত্রী বলেছেন, মিজোরামের মতো রাজ্য দুই সন্তানের নিয়ম অযৌক্তিক ও অগ্রহণযোগ্য। কারণ, এখানে জনসংখ্যার ঘণত্ব প্রতি বর্গ কিলোমিটয়ারে ৫২ জন। অন্য রাজ্যে এই সংখ্যা জাতীয় গড় অনুসারে প্রতি বর্গ কিলোমিটারে এর থেকে অনেকটাই বেশি। 


রয়তে বলেছেন, দুই সন্তান নীতি সেই রাজ্যগুলিতে প্রযোজ্য হোক, যেখানে জনঘণত্ব জাতীয় গড়ের তুলনায় বেশি। কেন্দ্র সরকারের উচিত অভিন্ন দুই সন্তান নিয়মের পর্যালোচনা করা উচিত।