দেশের উন্নয়নে কেন্দ্রের নরেন্দ্র মোদী সরকার অনেক কাজ করেছে বলে দাবি করেন তিনি। বলেন, অর্থনীতির মাপকাঠিতে ভারত আজ ফ্রান্সকে ছাড়িয়ে গিয়েছে। দেশের ১৯টি রাজ্য, ৭৫ শতাংশ এলাকা শাসন করছে বিজেপি। তবে এতে আত্মসন্তুষ্টিতে না ভুগে আমাদের ২০১৯-এ আরও বড় জয়, সাফল্য অর্জন সুনিশ্চিত করতে হবে।
কয়েকটি বিরোধী দলের বিজেপি বিরোধী মহাজোট তৈরির উদ্যোগকে কটাক্ষ করেও রাজনাথ বলেন, মহাগঠবন্ধন চোখে ধুলো দেওয়ার একটা চেষ্টা, বিভ্রম, মিথ্যার ওপর দাঁড়িয়ে রয়েছে। ২০১৯-এ তা মুখ থুবড়ে পড়বে।
এদিকে বিজেপি ঠিক করেছে, ২০১৯-এর নির্বাচনে দলের নেতৃত্ব দেবেন অমিত শাহই। আসছে জানুয়ারিতে তাঁর বিজেপি সভাপতি পদের চলতি মেয়াদ শেষ হচ্ছে। তবে সম্ভবত বিজেপি আগামী লোকসভা ভোট পর্যন্ত সাংগঠনিক নির্বাচন পর্ব স্থগিত রাখছে কারণ নির্বাচনী বৈতরণী পার হওয়ার চ্যালেঞ্জকেই সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিচ্ছে তারা।
দলেরই এক নেতার বক্তব্য, দলীয় সভাপতি, তাঁর নেতৃত্বাধীন পদাধিকারী ও কর্মীরা যাতে পুরোপুরি ভোটপ্রচারে মন দিতে পারেন, সেজন্য অতীতেও ভোটের বছরে সাংগঠনিক নির্বাচন পিছিয়ে দেওয়া হয়েছে।
বিজেপি সূত্রে বলা হয়েছে, দুদিনের জাতীয় কর্মসমিতির বৈঠকের ফাঁকে অমিত শাহ দলীয় সাংগঠনিক মেশিনারিকে ভোটে ব্যবহার করা নিয়েও আলোচনা করবেন।
২০১৪- র মে মাসে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী মন্ত্রিসভায় অন্তর্ভুক্ত হলে বিজেপি সভাপতি পদ ছাড়েন রাজনাথ সিংহ। তাঁর স্থলাভিষিক্ত হন অমিত। ২০১৬-য় তিনি বিজেপি সভাপতি নির্বাচিত হন। বিজেপির সংগঠন অনুসারে ৩ বছর করে টানা দুবার কেউ দলের সভাপতি থাকতে পারেন। সেইমতো আরও একটি মেয়াদের জন্য সভাপতি হতে পারেন অমিত।