সোমবার এই বিলের ব্যাপারে বিরোধীদের যাবতীয় অভিযোগ, সমালোচনার জবাব দেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। কয়েকজন বিরোধী সাংসদের দাবি, একটি বিশেষ সম্প্রদায়কে টার্গেট করতে এনআইএ আইনের ‘অপব্যবহার’ করা হচ্ছে। সরকার ‘রাজনৈতিক প্রতিশোধ’ তুলতে তদন্ত সংস্থাগুলিকে কাজে লাগাচ্ছে বলেও অভিযোগ করেন তাঁরা।
কিন্তু বিরোধীদের অভিযোগ খন্ডন করে বিলের পক্ষে সওয়াল করে অমিত শাহ বলেন, সরকারকে দেশের মানুষ বিপুল ভোটে ক্ষমতায় বসিয়েছে দেশকে সন্ত্রাসবাদ থেকে রক্ষা করতেই। আমি পরিষ্কার জানাতে চাই, সরকারের এমন কোনও উদ্দেশ্যই নেই। সন্ত্রাসবাদ খতম করাই তার একমাত্র লক্ষ্য। কিন্তু ব্যবস্থা নেওয়ার সময় অভিযুক্ত কোন ধর্মের, তাও আমরা দেখব না। বিলের পক্ষে সব দলকে সমর্থন জানানোর ডাক দিয়ে তিনি বলেন, তদন্ত এজেন্সিকে শক্তিশালী করার প্রশ্নে সভায় মতভেদ থাকলে ভুল বার্তা যাবে, সন্ত্রাসবাদীদের মনোবলই চাঙ্গা হবে। সন্ত্রাসবাদীদের এবং গোটা দুনিয়াকে স্পষ্ট বার্তা দিতে গোটা সংসদের এক সুরে কথা বলা উচিত।
আলোচনার জবাবে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী জি কিষণ রেড্ডি সরকার দেশকে সন্ত্রাসবাদ থেকে রক্ষা করতে দায়বদ্ধ বলে জানান। বলেন, এই সরকার চালাচ্ছেন এক চৌকিদার, দেশরক্ষায় সামনের সারিতে থাকবে সরকার। পাশাপাশি সন্ত্রাসবাদের কোনও জাত বা ধর্ম হয় না, তা স্রেফ সন্ত্রাসবাদ, এমন মন্তব্যও করেন তিনি।
সন্ত্রাসবাদ দমনকারী পোটা আইনের প্রসঙ্গেও অমিত শাহ আগেকার কংগ্রেস-ইউপিএ সরকারকে কাঠগড়ায় তুলে বলেন, ওরা ওই আইন তুলে নিয়েছিল তার বিরুদ্ধে ওঠা অপব্যবহারের অভিযোগের জন্য নয়, নিজেদের ভোটব্যাঙ্ক বাঁচানোর স্বার্থে। পোটা তুলে নেওয়ার পর সন্ত্রাসবাদী হামলার ঘটনা বেড়ে গিয়েছিল। ফলে বাধ্য হয়েই ইউপিএ সরকারকেই ২০০৮ এর মুম্বই হামলার পর এনআইএ গঠন করতে হয়েছিল।
রেড্ডি বলেন, এনআইএর সঙ্গে ফেডেরাল সিস্টেমের কোনও ইস্যু নেই। রাজ্য সরকার, তাদের এজেন্সিগুলির সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখেই চলে এনআইএ। অনেক সময়ই কোনও তদন্ত শুরুর আগে রাজ্যের ডিজিপি, মুখ্যসচিবকে চিঠি দেয় এনআইএ।