নয়াদিল্লি: তথ্য জানার অধিকার আইনে সংশোধন ঘটিয়ে তথ্য কমিশনারদের ক্ষমতা কেড়ে নেওয়ার অভিযোগে কেন্দ্রের নরেন্দ্র মোদি সরকারকে কাঠগড়ায় তুললেন সনিয়া গাঁধী।
কংগ্রেস সভানেত্রী এক বিবৃতিতে বলেছেন, তথ্য কমিশনাররা যে মোদি সরকারের হস্তক্ষেপ, অঙ্গুলিহেলন থেকে রেহাই পাবেন না, সরকারের পাশ করানো সংশোধনীগুলিতে সেটাই নিশ্চিত করা হয়েছে। সংসদে এই সংশোধনীগুলির বিরোধিতা করেছি, কার্য্যক্ষেত্রেও করে যাব আমরা। আমাদের গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানগুলিকে এভাবে টুকরো টুকরো করে ধ্বংস করার নিন্দা করছি এবং মোদি সরকারের এই আত্ম স্বার্থপূরণকারী আচরণের বিরুদ্ধে লড়াই চালিয়ে যাব, যা জাতীয় স্বার্থের সম্পূর্ণ পরিপন্থী।
প্রসঙ্গত, তথ্য অধিকার আইনে সংশোধনের ফলে কেন্দ্রে ও রাজ্যে মুখ্য তথ্য কমিশনার ও তথ্য কমিশনারদের চাকরির শর্তাবলী বদলানো হয়েছে।
তথ্য জানার অধিকার আইনকে ঐতিহাসিক আখ্যা দেন সনিয়া। বলেন, এই আইন গত ১৩ বছরে এমন এক প্রতিষ্ঠানের জন্ম দিয়েছে, যা ‘আমজনতার কাছে গণতন্ত্র, স্বচ্ছতা ও দায়বদ্ধতার পীঠস্থান হয়ে উঠেছে’। দেশব্যাপী তথ্যের অধিকার আন্দোলন কর্মীরা দুর্নীতি মোকাবিলা, সরকারি নীতিসমূহের কার্যকারিতা যাচাই করা, বিমুদ্রাকরণ ও নির্বাচনের মতো প্রক্রিয়ায় অসম্পূর্ণতা, ঘাটতি পরিমাপ করতে এই আইনকে অস্ত্র হিসাবে ব্যবহার করেছেন বলে জানান সনিয়া।
তিনি বলেন, মোদি সরকার এই নামী প্রতিষ্ঠানকে মানুষের প্রতি দায়বদ্ধতা পালন না করেই নিজেদের সংখ্যাগুরু এজেন্ডা চাপিয়ে দেওয়ার সামনে বাধা হিসাবে দেখেছে।
সনিয়া বলেন, বিজেপি সরকার এবার তথ্যের অধিকার আইন অচল করে দিতে চূড়ান্ত আক্রমণ চালিয়েছে। তার কার্যকারিতা আরও লঘু করে দিতে মোদি সরকার বেশ কিছু সংশোধনী পাশ করেছে, যাতে তথ্য কমিশনার পদ এতটাই ক্ষমতাহীন যায় যে, তাঁদের যে সরকারকে কাঠগড়ায় তোলার কথা, তাদেরই দয়ায় থাকতে হবে।
সনিয়ার অভিযোগ, এইসব গুরুত্বপূর্ণ পদের সুযোগসুবিধা ছেঁটে দিয়ে মোদি সরকার সুনিশ্চিত করেছে যে, কোনও আত্মমর্যাদাবান অফিসারই এমন নজরদারির আবহাওয়ায় কাজ করতে রাজি হবেন না।