নয়াদিল্লি: ‘অ্যাক্সিডেন্টাল প্রাইম মিনিস্টার’ ছবিতে তিনি মনমোহন সিংহ। স্ত্রী কিরণ খের চন্ডীগড়ের বিজেপি সাংসদ। কিন্তু অভিনেতা অনুপম খের বাস্তব জীবনে রাজনীতির ময়দানে নেই। তবে তার বাইরে থেকে হামেশাই দেশের সামাজিক, রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক ইস্যুতে সরব হন। সম্প্রতি ট্যুইটারে অনুগামীদের সঙ্গে প্রশ্নোত্তর সেশন করেন তিনি। অনুপমকে একজন প্রশ্ন করেন, প্রধানমন্ত্রী হিসাবে নরেন্দ্র মোদীর ভূমিকা, তিনি দেশের সামনে ঘনিয়ে ওঠা সমস্যাবলী মোকাবিলায় যা যা করছেন, তাকে কীভাবে বিচার করবেন। অনুপম বলেন, প্রধানমন্ত্রী দেশের উন্নতির জন্য আন্তরিক ভাবে সচেষ্ট। সবাই দেখতে পাচ্ছেন। ওনার সদুদ্দেশ্য ও ক্ষমতার ওপর আস্থা আছে আমার।
মোদী ও রাহুলের তুলনা টানতে বলা হলে ‘সারাংশ’-এর অভিনেতার জবাব, মিঃ মোদী নিজেকে তৈরি করেছেন। ভারতের উন্নয়ন, অগ্রগতির রোডম্যাপ ধাঁচের কিছু তাঁর আছে বলে মনে হয়। কিন্তু মিঃ গান্ধীকে এপর্যন্ত সব কিছুই প্লেটে সাজিয়ে দেওয়া হয়েছে। তাই ভারতের ভবিষ্যত্ সম্পর্কে নিজের ভাবনাচিন্তা এখনও স্পষ্ট করেননি তিনি।
লন্ডনের সাংবাদিক সম্মেলনের পর কংগ্রেস সভাপতিকে কী তিনি পরামর্শ দেবেন, প্রশ্ন করা হলে অনুপমের কটাক্ষ, দিল সে বোলো মেরে দোস্ত!
এক ট্যুইটার ব্যবহারকারী জানতে চান, মোদীর যে কোনও এমন একটা কাজ দেখান যাতে প্রমাণ হয়, তিনি ভারত, তার গরিব জনতার উন্নতি হয়েছে। অনুপম বলেন, সেজন্য আপনাকে তথ্য জানার অধিকার আইনে আবেদন করতে হবে।
মোদী ছাড়া প্রধানমন্ত্রী হিসাবে লালবাহাদুর শাস্ত্রী, পি ভি নরসিমা রাও তাঁর প্রিয় বলে জানান অনুপম। প্রয়াত অটলবিহারী বাজপেয়ীকেও ‘খুবই অনুপ্রেরণাদায়ক’, ‘স্মরণীয়’ বলে উল্লেখ করেন তিনি।
২০১৯-এ কারা জিতবে, প্রশ্ন করা হলে অনুপম বলেন, যে দল সবচেয়ে বেশি ভোট পাবে।
৫ বছরে সাক্ষরতা, অর্থনীতির ক্ষেত্রে ভারতের অবস্থান কোথায় হবে, জানতে চাওয়া হলে অনুপমের উত্তর, আমাদের দেশ ৭১ বছরের। আমাদের হয়তো দীর্ঘ পথ যেতে হবে, কিন্তু আমরা দ্রুত গতিতে এগচ্ছি। আমরাই সবচেয়ে সেরাদেরও সেরা।
রাজনীতিতে নামার সম্ভাবনা না থাকলেও অনুপম বলেছেন, রাজনীতিতে যোগ না দিয়েও আমি দেশের সম্পর্কে নিজের মত বলে যাব।