জয়পুর: দেশের বেকারদের জন্য কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি করায় অসফল, কিন্তু নরেন্দ্র মোদী ২০১৬-য় নিয়ন্ত্রণ রেখার ওপারে চালানো সেনাবাহিনীর সার্জিক্যাল স্ট্রাইককে রাজনৈতিক পুঁজি হিসাবে ব্যবহার করছেন। অভিযোগ রাহুল গাঁধীর। রাজস্থানের উদয়পুরে আজ এক নির্বাচনী জনসভায় কংগ্রেস সভাপতি দাবি করেন, ইউপিএ আমলের ব্যাঙ্কের অনুত্পাদক সম্পদের পরিমাণ ২ লক্ষ কোটি টাকা থেকে বেড়ে কেন্দ্রে বিজেপি সরকারের শাসনে ১২ লক্ষ কোটিতে পৌঁছে গিয়েছে। তিনি বলেন, মোদী সরকার ১৫-২০ জন শিল্পপতির ঋণ মকুব করেছে। ব্যাঙ্কিং সিস্টেমটাই রয়েছে শুধু ওঁদের জন্যই। অনুত্পাদক সম্পদ ক্ষুদ্র্, মাইক্রো, মাঝারি শিল্প সংস্থা, ব্যবসায়ী, ডাক্তার, আইনজীবীদের জন্য হয়নি।
২০১৬-র ২৯ সেপ্টেম্বর নিয়ন্ত্রণ রেখা পেরিয়ে পাকিস্তান অধিকৃত কাশ্মীরে জঙ্গি ঘাঁটিগুলিতে সেনাবাহিনীর সার্জিক্যাল হামলার প্রসঙ্গ তুলে রাহুল সমাবেশে বলেন, আপনারা এটা জানেন কি যে, নরেন্দ্র মোদী জমানার অভিযানের মতোই মনমোহন সিংহের সরকারের সময়ও তিনবার সার্জিক্যাল স্ট্রাইক চালানো হয়েছিল? মোদী আসলে সেনার এক্তিয়ারে নাক গলিয়ে তাদের অভিযানকে রাজনৈতিক হাতিয়ারের চেহারা দিয়েছেন। বিজেপি উত্তরপ্রদেশে নির্বাচনে লড়ছিল বলেই সার্জিক্যাল হামলার কথা প্রকাশ্যে আনা হয় বলেও অভিযোগ করেন রাহুল।

বিমুদ্রাকরণ, জিএসটি রূপায়ণের ব্যাপারে রাহুলের মত, আমজনতা দুটি ব্যাপারেই বিভ্রান্তির মধ্যে রয়েছেন। তিনি বলেন, বিমুদ্রাকরণ একটা কেলেঙ্কারি যা বড় বড় কোম্পানিগুলির সামনে সুযোগ তৈরি করে দিয়েছে। নোট বাতিল, জিএসটি অর্থনীতিকে ধ্বংস করেছে, সাধারণ মানুষের মেরুদণ্ড ভেঙে দিয়েছে। কেন্দ্রের বিজেপি সরকার বেকারদের জন্য কাজের সুযোগ সৃষ্টিতেও ব্যর্থ বলে অভিযোগ করেন তিনি।
তথ্য সুরক্ষার প্রয়োজনীয়তা সম্পর্কে কংগ্রেস সভাপতি বলেন, তথ্য ও প্রযুক্তি কোম্পানিগুলি বুঝেছে, ভারত ও চিনের কাছে বিপুল তথ্য আছে। সেই তথ্য মানুষের কাছেই থাকা উচিত, শাসকের প্রিয়ভাজন পুঁজিপতিদের কাছে নয়। এটাই আমাদের মত।
আয়ুস্মান ভারতের মতো মেডিকল বিমার ব্যবস্থা থাকলেও ভারতে ভাল হাসপাতাল নেই বলে অভিযোগ করে রাহুল বলেন, জনস্বাস্থ্য, শিক্ষা ক্ষেত্রে টাকা না ঢেলে দেশ চালানো যাবে না। তিনি এও বলেন, আগামী ১৫-২০ বছর দেশে সঠিক সরকার শাসন ক্ষমতায় থাকলে ভারত চিনকে ছাপিয়ে যাবে। যাদের দক্ষতা আছে, তাদের সম্মান করতে হবে। তাহলেই চিনকে ছাড়াবে ভারত। চিন লিড নিয়েছে বটে, কিন্তু আমরা প্রতিযোগিতা থেকে হটে যাইনি।