সোমবার প্রধানমন্ত্রীর দফতর থেকে একটি বিবৃতি দিয়ে জানানো হয় যে, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের সঙ্গে ফোনে আধ ঘণ্টা কথা হয়েছে মোদীর। দ্বিপাক্ষিক এবং আঞ্চলিক বিভিন্ন বিষয়ে দুজনের কথা হয়েছে বলে জানানো হয়েছে। বিবৃতিতে এ-ও বলা হয়েছে যে, কথোপকথনে দুই রাষ্ট্রনায়কের দিক থেকেই সৌজন্য ও আন্তরিকতার বার্তা ছিল।
ভারতীয় উপমহাদেশের পরিস্থিতির কথা আলোচনা করার সময় মোদী ট্রাম্পকে বলেন যে, কয়েকজন নেতার উগ্র হুঁশিয়ারি শান্তির পক্ষে সহায়ক নয়। সরাসরি নাম না করলেও মোদীর নিশানায় যে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান, বলার অপেক্ষা রাখে না। সীমান্ত সন্ত্রাস বন্ধ করা নিয়ে এবং শান্তিস্থাপন নিয়েও ট্রাম্প-মোদীর ফলপ্রসূ আলোচনা হয়েছে বলে জানানো হয়েছে প্রধানমন্ত্রীর দফতর থেকে।
প্রসঙ্গত, জম্মু ও কাশ্মীর থেকে ভারতীয় সংবিধানের ৩৭০ ও ৩৫ এ ধারা রদ হওয়ার পর থেকেই ভারত-পাকিস্তানের মধ্যে উত্তেজনার পরিস্থিতি তৈরি হয়। পাক প্রধানমন্ত্রী ইমরান হুঁশিয়ারি দেন যে, এর 'চরম মূল্য' দিতে হবে ভারতকে। ভারতের যে কোনও পদক্ষেপ সামলানোর জন্য পাকিস্তান সরকার এবং পাক সেনাবাহিনি তৈরি রয়েছে বলেও হুঙ্কার দিয়েছিলেন ইমরান। স্বাভাবিকভাবেই মোদি-ট্রাম্প কথোপথনে কাশ্মীর নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা হয়েছে বলেই খবর। ইমরানের হুঁশিয়ারি যে ভারত ভালভাবে দেখছে না, সে ব্যাপারটাও সম্ভবত মার্কিন প্রেসিডেন্টকে জানিয়েছেন মোদী।
সেই সঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর দফতর থেকে জারি করা বিবৃতিতে লেখা হয়েছে, ‘দারিদ্র, নিরক্ষরতা ও রোগ নিরাময়ে যারা লড়াই করবে, ভারত তাদের প্রতি দায়বদ্ধ থাকবে বলেও ট্রাম্পকে জোরালভাবে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী।’