চেন্নাই: মমল্লাপুরমে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে অঘোষিত শীর্ষবৈঠকে যোগ দিতে চেন্নাইয়ে বিপুল অভ্যর্থনা চিনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংকে। চেন্নাই বিমানবন্দরে অবতরণের পর তাঁকে রেড কার্পেট পেতে স্বাগত জানানো হয়। ভারত তাঁর এই সফরকে ‘অতুলনীয়’ আখ্যা দিয়েছে। শি-কে স্বাগত জানান তামিলনাড়ুর রাজ্যপাল বনোয়ারিলাল পুরোহিত, উপমুখ্যমন্ত্রী ও পনিরসেলভম। চিনা প্রেসিডেন্ট নামার কয়েক ঘন্টা আগেই চপারে সমুদ্র শহর মমল্লাপুরম পৌঁছে যান মোদি। সেখানে শি পৌঁছলে তাঁকে তিনি স্বাগত জানাবেন। তবে তার আগে শি চেন্নাই পৌঁছনোর কিছুক্ষণ পরই মোদি ট্যুইট করেন, ভারতে আপনাকে স্বাগত, প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং। জম্মু ও কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা প্রত্যাহারের প্রশ্নে চিনের পরিবর্তিত অবস্থান ও পাকিস্তানকে সমর্থনের জেরে নয়াদিল্লি-বেজিং সম্পর্কে চিড় ধরার পরিপ্রেক্ষিতে দু দেশের নয়া সমীকরণ স্থাপনের ব্যাপারে দুই শীর্ষ নেতা কথা বলতে পারেন বলে মনে করা হচ্ছে।



চিনা প্রেসিডেন্টের ভারত সফর উপলক্ষ্যে মোদি ইংরেজি, তামিল ও মান্দারিন, এই তিন ভাষায় আরেকটি ট্যুইটও করেন এদিন। লেখেন, এটা আনন্দের ব্যাপার যে, তামিলনাড়ু প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংকে অভ্যর্থনা করছে। এই অঘোষিত সামিট যেন ভারত, চিনের সম্পর্ক আরও জোরদার করে।


মমল্লাপুরম রওনা হওয়ার আগে বিমানবন্দর থেকে সোজা চেন্নাইয়ের হোটেলে যান শি। ভারতের প্রাচীন সংস্কৃতি তুলে ধরার পাশাপাশি চিনের ফুজিয়ান প্রদেশের সঙ্গে যোগসূত্রের সুবাদেই মমল্লাপুরমকে এই সামিটের জন্য বাছাই করা হয়েছে।
এই নিয়ে দ্বিতীয়বার অঘোষিত শীর্ষবৈঠকে বসছেন মোদি ও শি। প্রথমটি হয়েছিল ২০১৮-র এপ্রিলে চিনের ইউহান শহরে, ডোকালামে দুদেশের সেনাবাহিনীর টানা ৭৩দিনের সংঘাতের সমাপ্তির পর।
মমল্লাপুরম বৈঠকের পরিকল্পনা, সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল অনেক আগেই। তবে তা হতে চলেছে কাশ্মীর ইস্যুতে ভারত, চিন মতভেদের প্রেক্ষাপটে। চিনা প্রেসিডেন্ট পাক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের সঙ্গে সম্প্রতি বৈঠক করেছেন। তারপর চিনা শীর্ষনেতা জানিয়ে দেন, বেজিং কাশ্মীরের পরিস্থিতির ওপর নজর রাখছে। পাল্টা তীব্র প্রতিক্রিয়ায় ভারত জানিয়ে দেয়, কাশ্মীরের ঘটনাবলী তার ঘরোয়া ব্যাপার।
এদিকে কংগ্রেস নেতা কপিল সিবল আজ বলেছেন, শি-কে ‘পাকিস্তান অধিকৃত কাশ্মীরের ৫০০০ কিমি জমি খালি করে দিতে’ বলে নিজের ‘৫৬ ইঞ্চি’ ছাতির জোর দেখান মোদি। ভারতে ৫জি পরিষেবার জন্য চিনা সংস্থা হুয়াওয়েইয়ের জায়গা হবে না বলেও জানিয়ে দেন তিনি। সিবল ট্যুইট করেন, শি জিনপিং ইমরান খানকে ৩৭০ অনু্চ্ছেদের ব্যাপারে সমর্থন করেছেন, মোদিজি মমল্লাপুরমে তাঁর চোখের দিকে তাকিয়ে বলুন, চিন কারাকোরামে পাক অধিকৃত কাশ্মীরের যে ৫ হাজার কিমি জমি দখল করে আছে, তা ফাঁকা করুন। ৫ জি-র জন্য ভারতে চলবে না হুয়াওয়েই। ৫৬ ইঞ্চি ছাতি দেখান!