বার্মিংহ্যাম: বিশ্বকাপ শুরুর আগে তাঁদের অন্যতম ফেভারিট ধরা হচ্ছিল। অইন মর্গ্যানদের অভিযানও শুরু হয়েছিল প্রত্যাশিতভাবে। অথচ টুর্নামেন্টের মাঝপথে খেই হারিয়েছে ইংল্যান্ড। রবিবার ভারতের বিরুদ্ধে হারলে সেমিফাইনালের স্বপ্নও সঙ্কটাপন্ন হয়ে পড়তে পারে।


ভারতের বিরুদ্ধে গুরুত্বপূর্ণ দ্বৈরথের আগে মঈন আলি জানালেন তাঁর লক্ষ্যের কথা। বলে দিলেন, বিরাট কোহলিকে দ্রুত ড্রেসিংরুমে ফেরানোই ভারতকে হারানোর চাবিকাঠি।

চলতি বিশ্বকাপে দুরন্ত ফর্মে রয়েছেন ভারত অধিনায়ক। আফগানিস্তান ও ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধে ভারতের শেষ দুই ম্যাচে প্রাথমিক চাপ কাটিয়ে দলকে লড়াইয়ের মতো স্কোরে পৌঁছে দিয়েছিল কোহলির হাফসেঞ্চুরি। একটি ইংরেজি দৈনিকে নিজের কলামে মঈন লিখেছেন, ‘বিরাট জানে ও ভারতের হয়ে রান করবে। আর আমার কাজ হল ওকে আউট করা।’ আইপিএলে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোরে কোহলির নেতৃত্বেই খেলেন মঈন। ইংরেজ ক্রিকেটারের দাবি, মাঠের লড়াই মাঠের বাইরের বন্ধুত্বে কোনও প্রভাব ফেলবে না। লিখেছেন, ‘ওর মতো ক্রিকেটারের উইকেট পাওয়াটা বড় প্রাপ্তি। তবে বন্ধুত্বপূর্ণভাবেই নিজের কাজটা করা যায়।’

মঈন আরও লিখেছেন, ‘অনূর্ধ্ব ১৯ ক্রিকেট খেলার সময় থেকে আমরা একে অপরকে চিনি। তবে গত কয়েক বছরে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোরে খেলার সময় আমাদের বন্ধুত্ব হয়ে গিয়েছে। বড় ম্যাচের আগে ওর মনোবল বাড়াতে চাই না তবে ও এমনিতেই আত্মবিশ্বাসী আর ক্রিকেট নিবেদিত প্রাণ একজন খেলোয়াড়।’

শ্রীলঙ্কা আর অস্ট্রেলিয়ার কাছে পরপর হারের ধাক্কায় সমস্যায় ইংল্যান্ড। ভারত ও নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে তাদের শেষ দুই ম্যাচ তাই বাড়তি গুরুত্ব পাচ্ছে। মঈন লিখেছেন, ‘ভারত ও নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে গ্রুপ পর্বের এই শেষ দুই ম্যাচ আমি দারুণ সুযোগ হিসাবে দেখছি। ভয় পেলে চলবে না। ঘরের মাঠে খেলার জন্য প্রত্যাশার চাপ ম্যাচে প্রভাব ফেলবে না। ভারতই সবচেয়ে বড় উদাহরণ কারণ ওদের মতো অত প্রত্যাশার চাপ সামলে আমাদের খেলতে হয় না।’ নিজের মন্তব্যের ব্যাখ্যা করে মঈন লিখেছেন, ‘ভারতীয় ক্রিকেটারেরা দেশে মহাতারকা। জিতলে ওদের প্রশংসায় ভাসিয়ে দেওয়া হয়। হারলে প্রবল সমালোচনা হয়। আর খেলা না থাকলে ওরা স্বাভাবিক জীবন যাপন করতে পারে না কারণ মানুষ ওদের পিছনে ছোটে।’

ঘরের মাঠে শেষ দ্বিপাক্ষিক ওয়ান ডে সিরিজে ভারতকে ২-১ হারিয়েছিল ইংল্যান্ড। সেই অভিজ্ঞতা থেকে মঈন লিখেছেন, ‘রবিবার চাহাল ও কুলদীপের স্পিন বড় ব্যাপার হবে। শেষ ওয়ান ডে সিরিজে আমরা ওদের ভালভাবেই সামলেছিলাম। এবারও সঠিক মানসিকতা নিয়ে খেলতে হবে আর পরিস্থিতি অনুযায়ী, বলের মান অনুযায়ী খেলতে হবে।’