পটনা: দুষ্কৃতীদের পাকড়াও করতে গিয়ে মারা গিয়েছেন বিহারের কিষাণগঞ্জের এসএইচও অশ্বিনী কুমার। বাইক চুরির ঘটনায় জড়িতে ধরতে গিয়ে দুষ্কৃতীদের বেদম মারধরে জখম হয়ে প্রাণ হারান এই পুলিশ অফিসার। ছেলের এই অকাল মৃত্যুর শোক সহ্য করতে পারেননি অশ্বিনী কুমারের মা উর্মিলা দেবী। গতকাল ছেলের শোকে মৃত্যুর মুখে ঢলে পড়েন ৭০ বছরের উর্মিলা দেবী। বিহারের পূর্ণিয়া জেলায় এই ঘটনায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে।
কিষাণগঞ্জ টাউন থানার এসএইচও দুষ্কৃতীদের হামলায় মারা গিয়েছিলেন। বিহার-পশ্চিমবঙ্গের সীমানায় দুষ্কৃতীদের ডেরায় তল্লাশি চলাকালে এই ঘটনা ঘটে।
বাইক-চুরির সঙ্গে যুক্তদের সন্ধানে পুলিশ পশ্চিমবঙ্গের উত্তর দিনাজপুরেরপানাতাপরিতে এসেছিলেন অশ্বিনী কুমার। এরপর দুষ্কৃতীদের ডেরায় হানার সময় তাঁর ওপর চড়াও হয় একদল। বেধড়ক মারধর করা হয় তাঁকে। পরে মৃত্যু হয় তাঁর।
ছেলের মৃত্যুর খবর শোনার পরই সংজ্ঞা হারান উর্মিলা দেবী। হৃদরোগে ভুগছিলেন তিনি। ছেলের মৃত্যুর শোক আর সহ্য করতে পারেননি তিনি। ঢলে পড়েন মৃত্যুর কোলে। এই খবরে একালায় শোকবিহ্বল মানুষের ভিড় উপচে পড়ে।রবিবার নিজেদের গ্রামে মা ও ছেলে শেষকৃত্য একসঙ্গে সম্পন্ন হয়।
কিষাণগঞ্জ থানার এক পুলিশ আধিকারিক বলেছেন, অশ্বিনী কুমার তাঁর দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে অভিযানের খবর আগেই জানিয়েছিলেন পশ্চিমবঙ্গের পুলিশকে। হানা চালানোর সময় প্রায় ১০০ জন তাঁর ওপর হামলা চালায় এবং পিটিয়ে মেরে ফেলে।
সূত্রের খবর, দুষ্কৃতীদের হামলার মুখে অশ্বিনী কুমারের সঙ্গে যে পুলিশ কর্মীরা ছিলেন, তাঁরা কোনওক্রমে পালিয়ে যান।
নিহত পুলিশ আধিকারিকের পরিবার এই ঘটনায় ষড়যন্ত্রের অভিযোগ তুলেছেন। অশ্বিনী কুমারের মৃত্যুর পর কড়া পদক্ষেপ নিয়েছে কিষাণগঞ্জের পুলিশ বিভাগ। কিষাণগঞ্জের এসপি কুমার আশিস অশ্বিনী কুমারের সঙ্গে থাকা সার্কেল ইন্সপেক্টর সহ সাত পুলিশ কর্মীকে সাসপেন্ড করেছেন।
এই ঘটনায় ফিরোজ আলম নামে এক সন্দেহভাজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
ছেলের মৃত্যুর শোক সহ্য করতে না পেরে মায়ের মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়তেই গোটা এলাকায় নেমে আসে শোকের কালো ছায়া।